ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ বেশি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১১, ২ মে ২০২১

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার সংখ্যা বেশি। এ সময়ে নতুন সংক্রমিত ৮৪ জন আর সুস্থ হয়েছেন ৮৭ জন। তবে আক্রান্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণ হার ১০ দশমিক ১১ শতাংশ।

এদিন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ১০টি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে গতকাল নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কিছু ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ হয় না। ফলে পরের দিন পরীক্ষার কোনো রিপোর্টও দেয়া হয় না।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর পাঁচটি ল্যাবে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ৮৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ৮৪ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৭ জন ও ৯ উপজেলার ১৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ সীতাকুণ্ডে ৫, চন্দনাইশে ৪, ফটিকছড়িতে ২ এবং হাটহাজারী, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, সাতকানিয়া ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। 

জেলায় করোনায় মোট শনাক্ত ৫০ হাজার ১৭৪ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪০ হাজার ২১২ জন এবং গ্রামের ৯ হাজার ৯৬২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪ করোনা রোগী মারা যান। এর মধ্যে ২ জন শহরের ও ২ জন গ্রামের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৫২৮ জন। এতে শহরের ৩৯১ জন ও গ্রামের ১৩৭ জন। 

সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৮৭ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৫৩৬ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ১২২ জন ও ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩১ হাজার ৪৪০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২০ জন ও ছাড়পত্র নেন ৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪৮২ জন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে সর্বশেষ এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয় ৭ মার্চ ৬৩ জন। এদিন একজনের মৃত্যু হয়, সংক্রমণ হার ছিল ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। গেল এপ্রিলের পুরো ৩০ দিনই সংক্রমণ হার গতকালের চেয়ে বেশি ছিল। তবে সর্বশেষ ৩০ মার্চ ৯ দশমিক ৯১ শতাংশে নেমেছিল। মৃত্যুশূন্য এদিনে নতুন ২৯০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। 

দীর্ঘদিন পর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত ব্যক্তির চেয়ে ছাড়পত্র গ্রহীতার সংখ্যা বেশি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৮ জনসহ ৩০ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৮৫ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ২ জনসহ ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন।

নগরীর চার বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩০৫টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ৩টিসহ ২৪টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩২টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২টিসহ ১০টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ১৯টি নমুনায় শহরের ১টি ও গ্রামের ২টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

তবে এদিন ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ও বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ, চমেকে ২০ শতাংশ, শেভরনে ৭ দশমিক ৮৭, মেডিকেল সেন্টারে ১৫ দশমিক ৭৯ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি