উখিয়ায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে আহত ১০
প্রকাশিত : ২০:২১, ২ মে ২০২১
কক্সবাজারের উখিয়ায় স্কুল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উখিয়া ‘ইউএনও’র গাড়ী ভাংচুর হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে। এসময় উভয়পক্ষে পুলিশ, শিক্ষকসহ অন্তত ১০ গ্রামবাসি আহত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়ার উপজেলার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে এ ঘটনায় ঘটে। এসময় সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন কুমার বড়ুয়া, বাবুল আবছার ও পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়। অপরদিকে গ্রামবাসির মধ্যে দেলোয়ার (১৫), ফয়সাল (২০), হাসিনা বেগম (৩০), কবির আহমদ (৫০), মরিয়ম বেগম (৩৫) ও আবদু ছবি (১৬) আহত হয়েছে। এই ঘটনার পর পরিস্থিতি থমথম অবস্থায় রয়েছে।
উখিয়ার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামশুল আলম ভুলু জানিয়েছেন, ‘বিদ্যালয়ের পাশে একটি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য উখিয়া উপজেলা সহকারি (ভুমি) কমিশনারকে সাথে নিয়ে উখিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমদ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় আবু সৈয়দ ওরফে ফজলী, মো. কালু, নুরুল আলম নুরুসহ কিছু বিরোধীতাকারিদের সাথে প্রথমে বাক-বিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষ হয়।
এসময় ইউএনও’র গাড়ী ভাংচুর হয়। পরে ঘটনাস্থলে উখিয়া থানার পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এঘটনায় সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন কুমার বড়ুয়া, বাবুল আবছার ও পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হয়।
উখিয়ার থানার ওসি সন্জুর মোরশেদ জানিয়েছেন, ‘স্কুল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার কিছু উশৃংখল যুবক সরকারি কাজে বাধা দেয়ার খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। এসময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে আকস্মিক পুলিশতে লক্ষ করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশ ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘটনার নেতৃত্বদানকারি ওই এলাকার আবু সৈয়দ ওরফে ফজলী (৪০) ও মো. কালু (৫৫) কে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, ‘উখিয়ার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের জন্য বিরোধীয় জমি কিছুদিন আগে সমাধান হয়ে গেছে। কিন্তু, কিছু উশৃংখল যুবক হঠাৎ আমাদের উপর হামলা করে। এসময় তাদের ইট পাটকেলের আঘাতে গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে যায়। পরে পুলিশের উপর হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
কেআই//
আরও পড়ুন