ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

বেনাপোল বন্দরে বন্ধ স্ক্যানার মেশিন, বাড়ছে চোরাচালান

একুশে টেলিভিশনবেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:২৫, ৪ মে ২০২১

বেনাপোল স্থলবন্দরের মোবাইল স্ক্যানার মেশিনটি দুই বছর ধরে বন্ধ। কাস্টমস ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সমঝোতায় না আসায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অত্যাধুনিক এ স্ক্যানার মেশিনটি বন্ধ থাকায় বাড়ছে চোরাচালান, কিন্তু সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেই।

বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, অত্যাধুনিক এ স্ক্যানার মেশিন বন্ধ থাকায় বাড়ছে চোরাচালান। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, স্ক্যানিং মেশিন পরিচালনার জন্য অর্থের প্রয়োজন। বিষয়টি ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে জানানো হয়েছে।

বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে তিন বছর আগে ৪টি স্ক্যানার মেশিন বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে দেয় চীন সরকার। ২০১৮ সালে বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের প্রবেশদ্বারে একটি মেশিন বসানো হয়। এই অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম।

মেশিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস বিনামূল্যে পরিচালনা করেছে ৬ মাস। পরবর্তীতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ টেন্ডারের মাধ্যমে চুক্তিতে না আসায় বন্ধ হয়ে যায় বাইপাস সড়কের মোবাইল স্ক্যানার মেশিনটির কার্যক্রম। 

এদিকে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, নিরাপদ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল রাখতে স্ক্যানিং কার্যক্রম চালু করা জরুরি।

আমদানি পণ্য বহনকারী বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী বলেন, স্ক্যানিং মেশিনটি সচল থাকলে আমরাও নিরাপদ থাকতে পারি। সেই সঙ্গে বন্দর থেকে অবৈধ পণ্য চালান বন্ধ হতো।

বন্দরের আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, বেনাপোল বন্দরের স্ক্যানিং মেশিন দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকলেও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমরা ব্যবসায়ীরা মনে করি, নিরাপত্তার স্বার্থে স্ক্যানিং মেশিনটি পুনরায় চালু করা অতি জরুরি।

সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, নিরাপদ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্ক্যানিং মেশিনটি সচল রাখা খুব জরুরি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন আশা রাখছি। 

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, বন্দরে স্ক্যানিং মেশিনটি চালু থাকলে স্বচ্ছতার দিক দিয়ে অনেকটা নিশ্চিত থাকা যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি শিগগিরই চালু করবেন আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ফাইবার এ্যাসোসিয়েটসের প্রকৌশলী শপু বড়ুয়া জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চুক্তিতে না আসায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে স্ক্যানিং কার্যক্রম দুই বছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। চুক্তি হলে আবার কাজ শুরু করা হবে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মো: নেয়ামুল ইসলাম বলেন, স্ক্যানার পরিচালনার জন্য এখনও সরকারের বাজেট পাওয়া যায়নি। টেন্ডার যাচাই-বাছাই করে এনবিআরের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। যে কোনো স্থলবন্দরে স্ক্যানিং মেশিন থাকা খুব জরুরি। স্ক্যানিং মেশিন স্বচ্ছ বাণিজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

প্রসঙ্গত, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বছরে ৪৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রফতানি হয়। রাজস্ব আসে ৫ হাজার কোটি টাকা।
এএইচ/ এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি