স্পিডবোট মালিক-চালকদের সিন্ডিকেটের অনিয়মই এখন নিয়ম (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:১৮, ৫ মে ২০২১
স্পিডবোট মালিক-চালকদের জোরালো সিন্ডিকেটের অনিয়মই এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে। অদক্ষ চালক, ব্যবস্থাপনার অভাব আর ঘাট কর্তৃপক্ষের জোগসাজশে এমনটা হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে মাঝে মাঝেই ছোট-বড় দুঘর্টনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই। যদিও প্রশাসন বলছে, অনিয়ম ঠেকাতে তারা তৎপর।
কাগজে-কলমে স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার অবৈধ। তবে সেই অনিয়মই এখন নিয়মে পরিণত এই নৌরুটে। প্রতিদিন প্রায় দুইশ’ স্পিডবোট চলাচল করে এই পথে।
অবাক শোনালেও সত্য, খোদ বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধানে বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া ঘাটে তৈরি করা হয়েছে স্পিডবোটে যাত্রী পারাপারের পল্টুন। স্পিডবোট মালিক আর চালকদের সিন্ডিকেটে অতিরিক্ত যাত্রী ও অতিরিক্ত ভাড়ায় চলে পারাপার। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুঘর্টনা।
যাত্রীরা জানান, সিন্ডিকেট ও অসাধু লোক মিলে স্পিডবোট চালু রেখেছে। এর সঙ্গে প্রশাসনিক লোকও জড়িত আছে। স্পিডবোটের ভাড়া ছিল ১৫০ টাকা, এখন ৩শ’ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। সরকারির উচিত এখানে সঠিক তদারকি করা।
বাংলাবাজার ঘাটের স্পিডবোট মালিক সমিতির এই নেতা দুষছেন, শিমুলিয়া ঘাটের অব্যবস্থাপনাকে।
বাংলাবাজার স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সময়ে ওপার থেকে যাত্রী এনে অন্য জায়গায় নামাতো, আমার এই ঘাটে নামাতো না। এই ঘাট আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে এখানে নামাতো না।
জনবল স্বল্পতা ও লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায়, ব্যবস্থা নিতে অপারগতার কথা জানান নৌ পুলিশের এই কর্মকর্তা।
চরজানাজাত নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রত্যেকে আমরা সচেষ্ট আছি, পাশাপাশি সবার সহযোগিতা চাই। যাতে করে নদী পথের এই অনিয়ম দূর করতে পারি।
অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করলে জেল-জরিমানা করা হয় বলে দাবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা অবশ্যই এগুলো বন্ধের ক্ষেত্রে তৎপর ছিলাম এবং তৎপর আছি। যে স্পিডবোটটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে সেটি কিন্তু মাওয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে এপাড়ে আসছিল।
লকডাউনে কিভাবে স্পিড বোট চলাচল করছে, সে প্রশ্নের উত্তর নেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, অবহেলার দায়ে আমরা তাদেরকে আইনের আওতায় এনে যেভাবে বিচারকার্য করা প্রয়োজন ঠিক সেইভাবে করা হবে।
আর সুপারিশমালা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, কার কার কি দায়িত্ব ছিল সে বিষয়গুলো হয়তো উঠে আসবে। তারা একটা সুপারিশমালা আমাদেরকে দিবে, তার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ঘাটকে সিন্ডিকেটমুক্ত করে নিরাপদে নদী পারাপার নিশ্চিতের দাবি দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন