ক্ষোভ থেকেই শিশু তানিশাকে নির্মমভাবে হত্যা
প্রকাশিত : ১৪:১৫, ৮ মে ২০২১
ফেনীতে শিশু তানিশা ইসলাম (১১)কে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যার দায় স্বীকার করে লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে হত্যাকারী জেঠাতো ভাই নিশান (১৪)। আক্রোশের জেরে রাগে ক্ষোভে তানিশাকে হত্যা করে সে।
শনিবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী।
এসময় তিনি জানান, আক্তার হোসেন নিশানের বাবা জীবিত না থাকায় তানিশার পরিবার তাদের কথায় কথায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো। এর আক্রোশের জেরে রাগে ক্ষোভে সে তানিশাকে হত্যা করে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশু তানিশাকে বাসায় একা রেখে মা ও বোন পাশের বাড়িতে যান। সে সুযোগে তানিশাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নিশান ঘরে ঢুকে এবং তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায় তানিশাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে। পরে তানিশা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে টেনে হেছড়ে বাড়ির দোতলায় নিয়ে সিলিং-এর সাথে দড়িতে বাঁধার চেষ্টা করে। কিন্তু এতেও ব্যর্থ হয় নিশান। এরপর পাশে পড়া থাকা একটি আম কাটার ধারালো ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে।
এর ঘন্টা দেড়েক পর ঘরে তানিশাকে না পেয়ে তার মা ছাদের দিকে খুঁজতে গেলে তানিশার গলা কাটা মরদেহ দেখতে পান। এক পর্যায় খবর পেয়ে পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। এসময় ঘরের ছাদ থেকে পাওয়া একজোড়া স্যান্ডেলের সূত্র ধরে তানিশার জেঠাতো ভাই অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিশানকে আটক করা হয়।
তাকে জিজ্ঞাসায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে শুক্রবার সকালে নিহত তানিশার ভাই আশ্রাফুল ইসলাম হাসনাত বাদী হয়ে জেঠাতো ভাই নিশানকে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুপুরে নিশানকে আদালতে হাজির করলে সে আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। আদালতের নির্দেশনায় নিশানকে ঢাকায় কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের আলী ভুঞা বাড়ির সৌদি প্রবাসী শহিদুল ইসলামের ছোট মেয়ে তানিশা ইসলাম তিশার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই ঘটনার দৃষ্টান্ত বিচার চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে ফুসে উঠে সাধারণ মানুষ।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন