ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

হিলি স্থলবন্দরে বাড়তি ১০৬ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ

হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:৪৩, ৮ মে ২০২১

করোনা মহামারির মাঝেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত গত দশ মাসে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ১০৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আয় করেছে শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ। 

জুলাই থেকে এপ্রিল এই দশ মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৫০ কোটি ২৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এতে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৪৩ ভাগ, যা গত অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৬০ ভাগ। অর্থবছরের অবশিষ্ট দুই মাসেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয় ৩১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সে হিসেব মোতাবেক অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ সময়ে রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৬৫২ ভাগ, যদিও একইসময়ে গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫৩ ভাগ। 

আগষ্ট মাসে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এসময়ে রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ১৫৭ ভাগ, গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ৫৪ভাগ। সেপ্টেম্বর মাসে ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এসময়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ২১০ ভাগ, গত অর্থবছরে একই সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১১৯ ভাগ। 

অক্টোবর মাসে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ১৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এসময়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ১০৩ ভাগ, গত অর্থবছরে একই সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭৩ ভাগ। নভেম্বর মাসে ৩১ কোটি ৯ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এসময়ে রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮৬ ভাগ, গত অর্থবছরে একই সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭৫ ভাগ। 

ডিসেম্বর মাসে ৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২২ কোটি ২১ লাখ টাকা। জানুয়ারিতে মাসে ২৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ২৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৪৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। মার্চ মাসে ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৬১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এপ্রিল মাসে ৩১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৬৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। 

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম বলেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছি আমরা। করোনা মহামারির মাঝেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এর কারণ হলো বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি রফতানির ক্ষেত্রে অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধ, দ্রুততর সময়ের মধ্যে আমদানিকৃত পণ্যের চালান খালাস দেওয়া, ভেতরের সকল কার্যক্রমে কঠোর নজরদারি এবং আমদানিকারকদের ন্যায়সঙ্গত সমস্যার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত ও সমাধান দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা এই বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানিতে আরও উৎসাহিত হচ্ছে। 

শুধুমাত্র হিলি স্থলবন্দর দিয়েই ১ লাখ ৭১ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে, এটিও রাজস্ব বাড়তির কারণ। রাজস্ব প্রবৃদ্ধির এই ধারাকে অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট আছি। এতে করে লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে আরও বেশি পরিমাণে রাজস্ব আহরণ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এএইচ/ এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি