চুরি করা গরু কসাইয়ের কাছে বিক্রি, জবাইকালে জনতার হাতে ধরা
প্রকাশিত : ০৮:৪৮, ১৪ মে ২০২১
গভীর রাতে গোয়াল থেকে গরু চুরি করে রাতেই অর্ধেক দামে কসাইয়ের কাছে বিক্রি। আর কসাই রাতেই সে গরু জবাই করার সময় গরুর মালিকসহ স্থানীয় লোকজন হাতে নাতে ধরে ফেলে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে (১৪ মে) চোর ও কসাইয়ের এমন যোগসূত্রে একটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযুক্ত গরু চোর ওই গ্রামের সুবাসের ছেলে শিমুল ও চোরাই গরু ক্রেতা মাংস বিক্রেতা বেনাপোলের পাটবাড়ি গ্রামের সিরাজ কসাইয়ের ছেলে সেলিম কসাই।
গরুর মালিক বড়আঁচড়া গ্রামের সাজুল সরদার জানান, রাতে সেহেরি খাওয়ার পর তিনি গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখতে পান তার একটি গরু নেই। পরে তিনি স্বজনদের নিয়ে এলাকায় খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে লোক মুখে খবর পেয়ে দেখতে পান বেনাপোল পৌরসভার নির্জন এলাকায় সেলিম কসাই গরুটি জবাই করছে। তিনি চামড়া দেখে নিজের গরু শনাক্ত করেন। এসময় কসাই সেলিমকে ধরলে সে স্বীকার করে বড় আঁচড়া গ্রামের সুবাসের ছেলে শিমুলের কাছ থেকে রাতে ২৫ হাজার টাকায় গরুটি কিনেছেন। চোরের সাথে গরু ক্রেতার সখ্যতা আছে বলে অভিযোগ তোলেন গরুর মালিক ও এলাকাবাসী।
প্রতিবেশীরা জানান, দেখতে ভদ্র লোকের মতো হলেও গরু চোর শিমুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। বাংলাদেশ সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ নকশা দলিল ভারতে পাচারকালে দুই বছর আগে শিমুলের বড় ভাই পলাশকে বিজিবি সদস্যরা আটক করে পুলিশে দেয়।
এছাড়া পরিবারের অন্যরা সবাই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। একেবার ভারত সীমান্ত সংলগ্ন বাড়ি হওয়ায় প্রশাসনের এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সুবিধা দিয়ে একের পর এক এ পরিবারটি রাষ্ট্রদ্রোহীতাসহ নানান অপরাধমূলক কাজ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রোকনুজ্জামান জানান, গরু চুরি করে জবাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনএস/
আরও পড়ুন