বেনাপোলে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ
প্রকাশিত : ১৫:৫৫, ১৬ মে ২০২১
নেশার টাকা না পেয়ে রুমা খাতুন নামে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ মে) দিবাগত রাতে বেনাপোল পোর্ট থানার শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামে নিহতের শ্বশুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুমা খাতুন বারোপোতা গ্রামের সাফিউল রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম টুটুলের স্ত্রী ও একই থানার ইছাপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, আরিফুল ইসলাম টুটুল একজন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত ব্যক্তি। নেশার টাকা না পেয়ে রাতের কোন এক সময় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। রুমা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলেও জানায় স্বজনেরা।
রুমার চাচাতো ভাই শামিম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, যেখানে লাশ ঝুলানো ছিল, সেখানকার উচ্চতা ছিল মাত্র ৫ ফুট। রুমার পা মাটিতে ঠেকে ছিলো। এতে ধারণা করা যায়, তারা রুমাকে হত্যা করে সেখানে ঝুলিয়ে রেখেছিলো।
শামিম হোসেন বলেন, মাঝে মধ্যে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। আমরা আমার বোনকে বাড়ি নিয়ে যেতাম। তখন আরিফুল রুমাকে হুমকি দিয়ে বলত- তুই যদি বাড়ি না আসিস, তোর বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করব। এই ভয়ে রুমা তার স্বামীর বাড়ি আবার ফিরে যেত।
তার অভিযোগ, থানার সামনে শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামের প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী মোমিন মেম্বার ও তার ভাই আমাদের হুমকি দিচ্ছে, যাতে আমরা কোনও মামলা না করি। তারা বলে, বেশি বাড়াবাড়ি করবি না- বাড়ি চলে যা।
এদিকে, বিষয়টিকে আত্মহত্যা উল্লেখ করে ইউপি সদস্য মোমিন বলেন, মেয়েটি কি জন্যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব মিল ছিল। তবে মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো, আমি তা মিটিয়ে দিতাম।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে- এটা হত্যা না আত্মহত্যা।
এনএস/
আরও পড়ুন