ঢাকা, সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাদ্রাসা সুপার ও কাজীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মারপিট

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৫৯, ২০ মে ২০২১ | আপডেট: ১০:০০, ২০ মে ২০২১

কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের কাজী ও বদরপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাখোয়াত হোসেনকে ষড়যন্ত্র করে ডেকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অমানুষিক নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসার ওই সুপার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চরসাজাই গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি বিয়ে রেজিষ্ট্রির কথা বলে ফোন করে ডেকে নেন সাখোয়াত হোসেনকে। এরপর তাকে বেলাল হোসেনের বাড়ির আঙ্গিনায় গাছের সঙ্গে বেধে ফেলে এক বিবাহিত নারীর সঙ্গে পরকিয়ার মিথ্যা গল্প সাজিয়ে তাকে বেদম মারপিট করা হয়।

স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম যোদ্দার আশংকাজনক অবস্থায় মাদ্রাসা সুপারকে উদ্ধার করে তাদের স্বজনদের হাতে তুলে দেন। গত রোববার রাত ১০টা থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন সাখোয়াত হোসেন স্বজনরা।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, যে মেয়ের সঙ্গে পরকিয়ার মিথ্যা গল্প সাজানো হয়েছে সেই মেয়ে এ বিষয়ে কিছু জানেন না। বিবাহিত ওই মেয়ে জানান যে, মাদ্রাসার সুপারের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই এবং তার সঙ্গে দেখা কিংবা কোনো কথাও হয়নি। 

মোবাইল ফোনে কান্না জড়িত কন্ঠে মাওলানা সাখোয়াত হোসেন বলেন, ‘চরসাজাই গ্রামের বাবু মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, মাইদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও শফি আলম নামের ব্যক্তিরা আমাকে মিথ্যা অপবাদের কথা বলে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করে। এসময় আমার কাছে থাকা বিয়ে রেজিষ্ট্রির সরকারি বই, দুটি মোবাইল ফোন, নগদ ৭ হাজার টাকা ও মাদ্রাসার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ একটি ব্যাগও তারা ছিনিয়ে নিয়েছে।’

এদিকে ষড়যন্ত্র করে মাদ্রাসা সুপার ও কাজীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করার ঘটনায় এলাকাবাসির মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসির সঙ্গে বদরপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানান তারা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি