ঢাকা, শনিবার   ০৯ নভেম্বর ২০২৪

স্বামীর সামনে স্ত্রীকে অপহরণ চেষ্টা, রেকর্ড হয়নি মামলা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:২৪, ২০ মে ২০২১

স্বামীর সামনে স্ত্রীকে অপহরণ চেষ্টার ঘটনায় বখাটেদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু তদবিরের মুখে তা মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়নি। সেই সাথে থমকে গেছে পুলিশী তদন্তও।

উপজেলার খলিশাজুরী গ্রামের ভুক্তভোগী গৃহবধূ গত রোববার ৫ বখাটের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত থানায় তা মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়নি।

তাহিরপুর থানার এসআই পাপেল রায় বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বিষয়টি আপোস করে দেবেন বলায় অভিযোগটি মামলা হিসাবে থানায় রেকর্ড করা হয়নি।

হলহলিয়া গ্রামের ওয়ারিস মিয়ার ছেলে আয়নাল হক, একই গ্রামের মৃত আব্দুল মতলিবের ছেলে নজির হোসেন, মৃত ধন মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান, ছক্তার মিয়ার ছেলে একরাম, শহর আলীর ছেলে বাবুলসহ অজ্ঞাত নামা আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছিল।

থানায় দেয়া অভিযোগ ও ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবারের লোকজন সূত্রে জানা যায়, হলহলিয়া গ্রামের বখাটে আয়নাল হক একই গ্রামের দরিদ্র পরিবারের বিবাহযোগ্য যুবতীকে প্রায়ই আপক্তিকর প্রস্তাব ও যৌন হয়রানি করে আসছিলো। তার হাত থেকে রক্ষা পেতে দরিদ্র অবিভাবক ৫ মাস পুর্বে ওই যুবতীকে পার্শ্ববর্তী খলিশাজুরী গ্রামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেন।

এদিকে ঈদুল ফিতরের পরদিন শনিবার স্বামীকে নিয়ে পিতার বাড়ি হলহলিয়ায় বেড়াতে যান ওই গৃহবধূ। পরদিন সন্ধ্যায় স্বামীকে নিয়ে পরিবারের জন্য উপজেলার বাদাঘাট বাজার হতে কেনাকাটা শেষে পৈতৃক বাড়ি ফেরার পথে খেয়াঘাটের অদূরে মোটরসাইলে থেকে নামামাত্র বখাটে আয়নাল তার সহযোগীদের নিয়ে ওই গৃহবধূকে অপহরণের চেষ্টা চালায়।

বাঁধা দিতে গেলে ওই গৃহবধূর স্বামীকে বেধরক মারপিট করে আহত করে বখাটেচক্র। এরপর সড়কে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে তারা সটকে পড়ে।

ঘটনার রাতেই গৃহবধূর স্বামীকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে পরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগকারী গৃহবধূ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা দরিদ্র পরিবারের মানুষ, বখাটেদের নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে আমাকে অন্য গ্রামে বিয়ে দেয়ার পরও তাদের বখাটেপনা থামেনি বরং অভিযুক্তরা স্থানীয় ইউপি সদস্যের আত্মীয় হওয়ার কারণে আমার দেয়া অভিযোগটি তদন্তকারী অফিসার থানায় মামলা হিসাবে রেকর্ড করেননি। এখন অবধি কোন আইনগত ব্যবস্থাও নেননি।

দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফের সাথে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি