ফ্রি-ফায়ার কেড়ে নিল স্কুলছাত্রীর প্রাণ
প্রকাশিত : ০৭:৩৭, ২৬ মে ২০২১
ফ্রি-ফায়ার গেমসের একটা চিত্র
‘বাবা-মা আমাকে ফ্রি-ফায়ার গেম খেলতে দিত না। বকাঝকা করতো। তাই আমি চলে গেলাম। আমাকে আর বকাঝকা করতে হবে না’। এমনই একটি চিরকুট লিখে বগুড়ার শাজাহানপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে উম্মে হাবিবা বর্ষা (১২) নামে এক স্কুলছাত্রী।
বর্ষা বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার রামকৃঞ্চপুর গ্রামের সার্জেন্ট রওশন হাবিবের মেয়ে। সে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে চাকুরীর সুবাদে রওশন হাবিব ঢাকাতেই থাকেন। শাজাহানপুর উপজেলার বি-ব্লক রহিমাবাদ গ্রামে ভাড়া বাসায় দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন তার স্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৫ মে) বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফয়সাল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের স্বজনেরা জানান, সোমবার (২৪ মে) রাতে গেমস খেলার জন্য বর্ষা তার মায়ের কাছে মোবাইল ফোন চেয়েছিল। কিন্তু মোবাইল না দেয়ায় নিজ শয়ন ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে বর্ষা। পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তার মা তাকে ডাকতে গিয়ে দরজা লাগানো দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় আশপাশের লোকজন এসে প্রথমে জানালা ভেঙ্গে বর্ষাকে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে জানালা দিয়ে দরজার ছিটকানি খুলে মরদেহ নামানো হয়।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আত্মহত্যার আগে মেয়েটি একটা চিরকুট লিখে গেছে। প্রয়োজনীয় আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এনএস/
আরও পড়ুন