ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সন্দ্বীপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয় প্লাবিত
প্রকাশিত : ১৮:৫৬, ২৬ মে ২০২১ | আপডেট: ১৯:১৯, ২৬ মে ২০২১
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর গতিপথ পাল্টে যাওয়ায় বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতি জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সারিকাইত ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের দুই-তিনটি পয়েন্ট ভেঙ্গে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে এলাকা প্লাবিত হয়।
সন্দ্বীপের সারিকাইত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম পনির বলেন, 'বার বার তাগাদা দেয়া সত্বেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদাররা ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধের কাজ সম্পন্ন না করায় আজকের এই দুর্দশা।'
তিনি আরও বলেন, সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর ফুঁসে ওঠায় প্রবল জোয়ারের ফলে সারিকাইত ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চৌকাতলী এলাকার সাগর তীরবর্তী উপকূলীয় রক্ষাবাঁধ ভেঙ্গে প্রবল জোয়ার লোকালয়ে প্রবেশ করে বিস্তীর্ণ জনপদ সয়লাভ করে দেয়। এতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে তোলে।
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় সতর্কতায় উপকুলীয় এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। বিশেষ করে সারিকাইতের ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ দিয়ে রাতের জোয়ারে যেন সাগরের উচ্চ জোয়ার লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য ইতোমধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সন্দ্বীপের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলীর মাধ্যমে বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশসমূহ মেরামতের কাজ চালানো হচ্ছে।
সন্দ্বীপের সাগর তীরবর্তী লোকালয় সমূহের অনেক লোকজন মনে করেন, আজ পূর্ণিমা এবং চন্দ্রগ্রহণ থাকায় যদি বাতাসের বেগ বেশি থাকে তাহলে মধ্যরাতের প্রবল জোয়ারের চাপে আবারও উপকূলীয় রক্ষা বেড়িবাঁধের দুর্বল স্থানগুলো ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে বলে তারা অনেকে আশংকা করছেন। বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বেড়িবাঁধের এই নিন্মমানের কাজের কারণে বাঁধ ছিঁড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন এলাকাবাসি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলে তিন থেকে ছয় ফুটের অধিক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে উপকূলের বেশকিছু জেলা প্লাবিত হয়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশের উপকূল থেকে দূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
কেআই//
আরও পড়ুন