সিগারেটসহ আবুল খায়ের গ্রুপের কোটি টাকা ডাকাতি
প্রকাশিত : ১৫:০৭, ২৭ মে ২০২১ | আপডেট: ১৭:১৮, ২৭ মে ২০২১
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপের মালিকানাধীন টোব্যাকোর উৎপাদিত সিগারেটসহ প্রায় এক কোটি টাকা ডাকাতি হয়েছে। গত তিন মাসের মধ্যে পাঁচ ঘটনায় চাঁদপুরে ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে ওই মূল্যের সিগারেট ডাকাতি হয়।
সর্বশেষ গত ২৬ মে রাতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পোস্তারপাড় এলাকার ডিলারের গুদামে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যেখান থেকে ডাকাতি হওয়া পণ্যের আনুমানিক মূল্য ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এর আগে গত ৯ মে নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে ২৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকার; ১৩ মে চাঁদপুরের কচুয়াতে ৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকার সিগারেট ও বিক্রির নগদ ৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা; ১০ মার্চ সন্দ্বীপে নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা; ২৬ মার্চ সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে নগদসহ ২৪ লাখ ১৭ হাজার টাকার সিগারেট লুট হয়েছে।
মহামারীর করোনার সময় দুই মাসের ব্যবধানে ৫টি ডাকাতির ঘটনায় এ বিপুল অঙ্কের টাকা ও সিগারেট লুটের ঘটনায় পুলিশ ও উৎপাদককারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও বিস্মিত।
এ বিষয়ে আবুল খায়ের গ্রুপের ডিজিএম ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এগুলো ছোটখাটো ঘটনা নয়, ডাকাতি শেষে কার্টনভর্তি পণ্য নিয়ে যেতে হয় পিকআপ ও ট্রাকে। শুধু আমাদের নয়, অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানেরও সিগারেট ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি।’
প্রতিটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সর্বশেষ পরিবেশক প্রতিষ্ঠান মেসার্স খাজা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হোসাইন পারভেজ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নগরীর ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন পোস্তারপাড়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, ‘পেশাদার একটি গ্রুপ আছে মনে হচ্ছে। তারা এই কাজ বেশ কৌশলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে করে নিরাপদে সরে গেছে। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।’
তবে করোনার এই সময়ে হঠাৎ করে সিগারেট ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ জানাতে পারছে না তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে, লকডাউনে কাজ না থাকায় অভাব-অনটন বেড়ে যাওয়ায় অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাফেলতির কারণেও এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটতে পারে। এর ফলে দেশি-বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে পণ্য সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এনএস/
আরও পড়ুন