লকডাউনের তৃতীয় দিনে বৃষ্টিতে ঘরবন্দি মানুষ
প্রকাশিত : ২৩:০৭, ২৭ মে ২০২১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগজনক হারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাতদিনের ‘বিশেষ লকডাউন’ চলছে। বৃহস্পতিবার ছিল জেলা প্রশাসন ঘোষিত লকডাউনের তৃতীয় দিন। দিনভর বৃষ্টিতে ঘরবন্দি ছিল মানুষ। প্রশাসনের নজরদারি ও বৃষ্টির কারণে লকডাউনের তৃতীয় দিনও জনবহুল এলাকা ছিল জনশূন্য। গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। বিভিন্ন মার্কেট বন্ধ রয়েছে। সকালে বৃষ্টি শুরুর আগে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলা মোড়ের পেট্রল পাম্পের সামনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিসুর রহমানকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, শহরের পাশাপাশি গ্রামেও কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দিয়াড় অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ও মোড়ের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ইসলামপুর ইউনিয়নে হায়াত মোড়ে পুলিশ সদস্যদের লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছিলেন। সেখানে কথা হয় ইসলামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রেজওয়ানুল হক মণ্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, বৃষ্টির মধ্যেও লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ। সরকারি নির্দেশনার পাশাপাশি মানবিক দিক মাথায় রেখে মানুষকে লকডাউন মানতে বাধ্য করা হচ্ছে। মানুষও ধীরে ধীরে সচেতন হচ্ছে।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছ, যারা বিনা কারণে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠাচ্ছে পুলিশ। তৃতীয় দিনেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে লকডাউন বাস্তবায়নের কাজ করছে পুলিশ। দোকানঘর বা মার্কেটের ছাউনিতে দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পাল করছে। পুলিশ বলছে, যাতে লকডাউন পালন হয় তার জন্য কড়া নজর রাখেছে পুলিশ। সরকারি নির্দেশ অমান্যের কোনও তথ্য পেলেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, লকডাউনের তৃতীয় দিনেও মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১২টি দল জেলার ৫ উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করা হচ্ছে জরিমানা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, তৃতীয় দিনও মানুষকে ঘরে রাখতে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন। সরকারি নির্দেশনায় সাধারণ মানুষ নিজেদের ঘরবন্দি রাখায় সফল হয়েছে লকডাউন। সবার সহযোগিতা পেলে করোনা মহামারির এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
আরকে//
আরও পড়ুন