ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

আরশিনগর ফিউচার পার্ক: উপরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিচে খেলার রাইডার

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৩৭, ২৮ মে ২০২১ | আপডেট: ১১:৪৪, ২৮ মে ২০২১

আরশিনগর ফিউচার পার্ক

আরশিনগর ফিউচার পার্ক

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে আরশিনগর ফিউচার পার্ক নামে একটি বাণিজ্যিক বিনোদন কেন্দ্র। যেখানে রয়েছে শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষদের অবাধ বিচরণ। ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে শিশুদের জন্য নানা রকম খেলার রাইডার। অথচ এর উপর দিয়ে গেছে ২ লাখ ৩২ হাজার কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। যে কোনও সময় ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা।

যদিও সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে, জাতীয় গ্রীডের নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে কোনও স্থাপনা আইনত অপরাধ। যে কোনও সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যার ফলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি জানমালের বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতিও হতে পারে।

এ বিষয়ে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রীড চট্টগ্রামের বার আউলিয়া কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী হাসমত উল্লাহ বলেন, ‘এটি ২ লাখ ৩২ হাজার কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন লাইন। এর নিচে কোনও স্থাপনা করার নিয়ম নেই। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।’

সম্প্রতি পার্কে আসা নাছরিন আক্তার নামে এক দর্শনার্থীর সাথে প্রতিবেদক কথা বললে তিনি জানান, ‘এলাকায় আর কোনও পার্ক না থাকায় বাচ্চাদের নিয়ে এখানে আসতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ লাইন আছে দেখেছি, কিন্তু এর কারণে কি ক্ষতি হবে তাতো আমরা জানি না।’ 

এদিকে বেশ কয়েক দফা আরশিনগর ফিউচার পার্ক কর্তৃপক্ষকে মিরসরাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে সতর্ক করার পরও তারা একে একে কটেজ, খেলার রাইডার, বেবি শপ, চকলেট শপ, রেস্টুরেন্ট, ফুডজোন, কৃত্রিম লেক, কমিউনিটি সেন্টার, মুক্তমঞ্চ তৈরি করে সেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘আরশিনগর ফিউচার পার্ক নামের প্রতিষ্ঠানটি পুরোটাই অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে। এ ধরণের জায়গায় পার্ক কোনওভাবেই থাকতে পারে না। বিদ্যুৎ বিভাগ এর জন্য ব্যবস্থা নিতে পারে।’ 

অবশ্য আরশিনগর ফিউচার পার্কের কর্ণধার নাছির উদ্দিন দিদার এসব বিষয় মানতেই নারাজ। তার মতে, তিনি ঠিক জায়গায় ঠিক সময়ে একটি যুগোপযোগী পার্ক স্থাপন করেছেন। এখানে কোনও অবৈধ বিষয়াদি নেই। তিনি বলেন, ‘জাতীয় গ্রীড বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন আমার পার্কের উপর দিয়ে যায়নি। এটি গেছে পশ্চিম পাশ দিয়ে।’

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি