রামেক করোনা ইউনিটে আরও ৭ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১৫:১৫, ২৯ মে ২০২১
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মে) দুপুর থেকে আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড ও আইসিইউতে তারা মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যে সাতজন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে তিনজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বাকি চারজনের করোনা উপসর্গ ছিল। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
নিহতদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইজন, রাজশাহীর তানোরের দুইজন এবং নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার একজন করে মোট তিনজন। এ নিয়ে গত পাঁচদিনে রামেক হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মোট ৩৯ জন মারা গেছে বলেও জানান তিনি।
বিগ্রেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, আজ (শনিবার) দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৯১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে চাঁপাইনবাগঞ্জের ৯৪ জন, রাজশাহীর ৭২ জন, নাটোরের ৯ জন, নওগাঁর ৬ জন, পাবনার ৪ জন, সিরাজগঞ্জের ২ জন ও কুষ্টিয়ার ৪ জন। এদের মধ্যে করোনা আইউসিইউতে রয়েছেন ১২ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন। এর মধ্যে ১৫ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বলে জানান রামেক হাসপাতালের পরিচালক।
শামীম ইয়াজদানী জানান, মূলত: ঈদের পর থেকে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু বাড়তে থাকে। গত ১৬ মে থেকে ২৯ মে দুপুর পর্যন্ত এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৩ জন, চাঁপাইনবাগঞ্জের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোদাগাড়ীর ১০ জনসহ রাজশাহী জেলার ২৪ জন, পাবনার দুইজন, কুষ্টিয়ার একজন ও নাটোরের একজন।
তিনি বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগী ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এরপর করোনা রোগীদের ডাবলিং বা মেঝেতে রাখতে হবে। ফলে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এমন অবস্থায় করোনার সংক্রমণ রোধে রাজশাহীতেও বিশেষ লকডাউন ঘোষণা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এনএস/
আরও পড়ুন