অর্ধমাস ধরে হাসপাতালের মেঝেতে ভারসাম্যহীন এক নারী
প্রকাশিত : ১৩:০৪, ৩০ মে ২০২১
টানা ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে আছেন মধ্যবয়সী এক নারী। কথা বলতে না পারায় নাম-ঠিকানাও জানা যাচ্ছে না তার। তিনি অজ্ঞাত রোগে ভুগছেন বলে ধারণা চিকিৎসকদের।
ওই নারীর বয়স আনুমানিক ৩০, চেহারায় রুগ্নতার চাপ। অজ্ঞাত এ নারী গড়নে লম্বা, গায়ের রং শ্যামলা। পরনে রয়েছে আকাশী রঙের সালোয়ার-কামিজ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেশ কিছু দিন ধরে দেখা যাচ্ছে এই নারীকে। কথা বলতে না পারায় তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্যহীন তিনি। কোত্থেকে হঠাৎ এলেন তা কেউ বলতে পারছেন না।
তাকে সারাদিন হাসপাতালের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কেউ কিছু খেতে দিলেও খায় না, রাতে হাসপাতালের মেঝেতেই ঘুমায়। অজ্ঞাত এই নারীকে নিয়ে কৌতূহল স্থানীয়দের। অন্যদিকে মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সদর হাসপাতালের দারোয়ান নাসিমুল গনি ফিট্টু বলেন, ওই নারীকে ১৫ দিন আগে হঠাৎ হাসপাতালের মেঝেতে দেখি। পরিচয় জানতে চাইলে কোনো কথা বলে না। ধারণা করা হচ্ছে, এই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। কোনো কিছু খেতে দিলেও খাচ্ছে না। তবে কথার ধরনে বোঝা যাচ্ছে তার বাড়ি চট্টগ্রাম বিভাগে হতে পারে। কীভাবে কোত্থেকে তিনি এলেন, এ নিয়ে কেউ কিছুই বলতে পারছে না।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফাতেহ আকরাম বলেন, বেশকিছু দিন ধরে এই নারী হাসপাতালে অবস্থান করছেন। তিনি কোনো কথা বলতে পারছেন না। মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও তাকে বেশ গোছালো মনে হচ্ছে। আমরা তার নাম-পরিচয় জানার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।
এই নারীকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে সামাজিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এএইচ/
আরও পড়ুন