ত্রাণ চাই না, চাই টেকসই বেড়িবাঁধ
প্রকাশিত : ২১:৫৪, ৩০ মে ২০২১ | আপডেট: ২১:৫৭, ৩০ মে ২০২১
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর তীরবর্তী দু'পাড়ের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন।
রোবাবার সকালে সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন ইয়াসে উপজেলার বারইখালী, বহরবুনিয়া, বলইবুনিয়া ও পঞ্চকরণ ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে নদী শাসন কার্যক্রম শুরু হবে। রাস্তা-ঘাট পুনঃনির্মাণ করা হবে। সন্ন্যাসী থেকে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।
পরিদর্শনকালে নদীর তীরবর্তী হাজার হাজার নারী পুরুষ সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলনকে শ্লোগান দেয়। এলাকাবাসী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর কাছে ত্রাণ চাই না, চাই টেকসই বেড়িবাঁধ'।
এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহামুদুন্নবী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ, পৌর যুবলীগ আহবায়ক আহবায়ক আসাদুজ্জামান বিপুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তার সফরসঙ্গী ছিলেন।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে বেড়িবাঁধ, সড়ক, মৎস্য, বসতঘরসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ১৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৭'শ পরিবারের মাঝে নৌ বাহিনীর তরফ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে নৌ বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থেকে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ত্রাণ সহয়তার প্রস্তুতি চলছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে তিনটি ইউনিয়নের ৮টি গ্রামে এখন সরাসরি নদীর পানি ওঠানামা করছে। পঞ্চকরণের দেবরাজ গ্রামের শত শত লোক ওয়াবদার বেড়িবাঁধ মেরামতে আজ কাজ করছেন। এছাড়াও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডসহ ৬টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ১২টি গ্রামে প্রবেশ করেছে নদীর অধীক লবন পানি। বহু পরিবার এখনো পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। বন্ধ রয়েছে রান্নার কাজ।
মোরেলগঞ্জ ও নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ৭'শ পরিবারের মাঝে জরুরি খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছে নৌ বাহিনীর একটি দল। নৌ বাহিনীর সাব লেফটেনেন্ট জুয়েল চন্দ্র সরকার বলেন, খুলনা নেভাল কমান্ডারের পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্ত ৭০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জরুরি ত্রাণ সহায়তা সম্পর্কে বলেন, সড়ক, মৎস্য, বিদ্যুৎ, বসতঘরসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ১৩ কেটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারের তরফ থেকে ১৫০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা ও নগদ ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। যা সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাধ্যমে বিতরণের কাজ চলছে।
কেআই//
আরও পড়ুন