ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

সোনাগাজীর মিল্কভিটা কারখানার বেহাল দশা (ভিডিও)

ফেনী প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১১:৫৯, ৩১ মে ২০২১

ফেনীর সোনাগাজীতে মিল্কভিটার দুগ্ধ শীতলীকরণ কারখানার বেহাল দশা। প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার লিটার দুধ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু হলেও ১শ’ লিটারের বেশি করতে পারেনি তারা। ফলে কারখানা স্থাপনের সময় খামারীদের মাঝে সঞ্চারিত হওয়া আশা, দিনে দিনে পরিণত হয়েছে হতাশায়। 

২০০৮ সালের জানুয়ারিতে সোনাগাজীর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের চরগণেশ এলাকায় একটি দোতলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে মিল্কভিটা। পরবর্তীতে পরিধি বাড়ানো হবে এবং নিজস্ব জমিতে দুগ্ধ শীতলীকরণ কারখানা স্থাপন করা হবে- এমন আশ্বাস ছিলো কর্তৃপক্ষের। কিন্তু দীর্ঘ একযুগ পরও অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। 

এখন অবধি কোনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ। উল্টো বর্তমানে প্রতি লিটার দুধের দাম ৭০-৮০ টাকা হলেও, নানা অজুহাতে তারা কিনছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়। এরইমধ্যে বন্ধ করেছে গাভী ঋণ। 

খামারীরা জানান, আমাদেরকে ওরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার ১০ ভাগও পূরণ করেনি। প্রায় ৩ থেকে ৫ বছর যাবত খামারীরা কোন লোন পাচ্ছে না। যার কারণে দুধের পরিমাণও কমে গেছে। ভাল একজন ম্যানেজার দিলে এই মিল্কভিটার কারখানাটি অনেক উন্নত হবে, অনেক এগিয়ে যাবে।

এমন অচলাবস্থার জন্য খামারীরা দায়ী করছেন খোদ মিল্কভিটা কারখানার ব্যবস্থাপক আল আমিনকে। 

ফেনী মিল্কভিটা দুগ্ধ শীতলীকরণ কারখানার হিসাব রক্ষক আব্দুল হাই বলেন, আমাদের স্যার এখন ছুটিতে আছেন, তো আমি অফিসিয়াল কোন কথা বলতে পারছি না।

খামারীরা লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন ফেনীর জেলা প্রশাসক।

ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, তারা যদি কোন অভিযোগ করে, তারা যদি জানায় এ বিষয়ে কি কি প্রতিকার দরকার। তাহলে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারি। এখানে অনেক দুগ্ধ খামার রয়েছে এবং এদেরকে যদি কোন প্রণোদনা দিতে পারি তাহলে এই দুগ্ধ খামারগুলো আরও বেশি উৎপাদন করতে পারবে। 

শুরুতে মিল্কভিটার খামারীদের নিয়ে ২৩টি সমবায় সমিতি গড়ে ওঠে। নানা সংকটে সমিতিগুলোতেও এখন দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি