করোনার মধ্যে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বেড়েছে নতুন শাবক (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৮, ৩১ মে ২০২১
করোনা মহামারী বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক প্রভাব ফেললেও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার জন্য হয়ে উঠেছে আর্শীবাদ। গত বছর থেকে দুই দফা লকডাউনের প্রায় ১০ মাস বন্ধে জন্ম দিয়েছে অর্ধশত নতুন শাবকের। নির্জন ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশে প্রাণীদের প্রজনন হার বেড়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
দর্শনার্থীশূণ্য চিড়িয়াখানায় নিজের মত স্বাধীন কলরবে মেতেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার এসব পশুপাখি। মানুষের আনাগোণা না থাকায় খোঁচাখুঁচি, অনাকাঙ্ক্ষিত উৎপীড়ন কিংবা অহেতুক শব্দ দূষণ থেকে যেন বেঁচে গেছে প্রাণীকূল। এমন শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশ পেয়ে তাদের মধ্যে বেড়েছে নতুন শাবক জন্মদানের হার।
কর্তৃপক্ষ বলছেন, দীর্ঘ লকডাউনে চিড়িয়াখানা দর্শনার্থী শূণ্য হয়ে পড়ায় সম্প্রতি ছয়টি বাঘ শাবকের জন্ম হয়েছে। চারটি শাবক ছানার জন্ম দিয়েছে চিত্রা হরিণ। একইভাবে ঘোড়া, গয়াল, ময়ূরসহ বিভিন্ন পশু পাখি প্রায় ৪০টি নতুন শাবকের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে ভাল্লুক, জেব্রা, বানরসহ বিভিন্ন প্রাণী অপেক্ষায় আছে নতুন ছানা জন্ম দেয়ার।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন চিড়িয়াখানার পশু-পাখী অত্যন্ত নিড়িবিলি একটা পরিবেশ পেয়েছে। সেই পরিবেশের কারণে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রাণী ও পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
লকডাউনের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পশু-পাখি প্রজননের অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য পরবর্তীতে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী সীমিত করার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসাইন শুভ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দিব যে, যৌক্তিক একটা সময় দর্শনার্থীর জন্য নির্দিষ্ট করে দেয়ার জন্য।
তবে লকডাউনে আয় বঞ্চিত হয়ে প্রায় ৪ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন