পরকীয়ার কারণে স্ত্রী ও ছোটভাই শ্বাসরোধে হত্যা করে শাকিলকে
প্রকাশিত : ০৮:১৩, ৩ জুন ২০২১ | আপডেট: ০৮:১৪, ৩ জুন ২০২১
শাকিলের হত্যার দায়ে আটক ছোটভাই সাব্বির ও স্ত্রী মীম
পাবনার ঈশ্বরদীতে পরকীয়ার কারণেই শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদকে। পরকীয়ার কারণে শাকিলের স্ত্রী মীম খাতুন ও ছোটভাই সাব্বির হোসেন দু’জনে মিলে হত্যা করে তাকে। ঘটনায় জড়িত দু’জনকে আটকও করা হয়েছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
বুধবার (২ জুন) দুপুরে পাবনা জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান। আটক দু’জন হলেন নিহত শাকিলের স্ত্রী মীম খাতুন ও ছোট ভাই সাব্বির হোসেন।
তিনি জানান, নিহত শাকিলের স্ত্রী মীম খাতুনের সাথে তার দেবর সাব্বিরের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এছাড়া জমিজমা ও পুকুরের মালিকানা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ছিল শাকিল ও তার ছোটভাই সাব্বিরের সঙ্গে। পরকীয়ার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে গত ১৯ মে শাকিল তার স্ত্রী মীমকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে ঈশ্বরদী শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠেন। এরপরই শাকিলের উপর ক্ষিপ্ত হয় শাকিলের স্ত্রী মীম ও ছোটভাই সাব্বির।
তারপরওই তারা শাকিলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ২৭ মে রাতে শাকিলকে তিনটা ঘুমের ওষুধ পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ায় স্ত্রী মীম। পরদিন ২৮ মে সারাদিন ঘুমের মধ্যে থাকেন শাকিল। রাতে সাব্বির তার ভাইয়ের বাসায় যায়। তারপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শাকিলকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে সাব্বির ও মীম। এরপর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে সাব্বির ওড়না দিয়ে মীমের দুই পা ও মুখ এবং শাকিলের পাঞ্জাবী দিয়ে মীমের দুই হাত বেঁধে রেখে বাহির থেকে দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে চলে যায়।
স্বজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। প্রথমে সন্দেহজনক হওয়ায় স্ত্রী মীম ও পরে সাব্বিরকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে তারা। সেই সাথে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে মীম। সাব্বিরকে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) ফিরোজ কবীর।
এএইচ/
আরও পড়ুন