নারী কনস্টেবলের গোপন ভিডিও ছড়িয়ে গ্রেফতার, অতঃপর রিমান্ডে
প্রকাশিত : ০৮:০৬, ৫ জুন ২০২১
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলে নারী কনস্টেবলের গোপন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় হৃদয় খান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শুক্রবার (৪ জুন) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুর নাহার ইয়াসমিনের আদালতে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। শুনানী শেষে বিচারক একদিনের আদেশ দেন। এর আগে সকালে সদর উপজেলার ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে হৃদয় খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, নারী কনস্টেবল বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হৃদয় খানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারী কনস্টেবল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হৃদয় খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই নারী পুলিশ সদস্য নারায়ণগঞ্জের চাঁনমারী এলাকার বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে এসএএফ শাখা কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। অভিযুক্ত যুবক হৃদয় খান ওই নারীর আত্মীয় এবং তাদের মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপে হৃদয়ের সাথে নিয়মিত ভিডিও কলে যোগাযোগ হতো তার।
এর এক পর্যায়ে হৃদয় খান তাকে বিয়ের কথা বলে। তার সাথে বিভিন্ন কথা বলাসহ বিভিন্ন ভিডিও আদান-প্রদান হয়। যা হৃদয় তার মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করে রাখে। পরে যখন হৃদয়ের সাথে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয় তখন হৃদয় তার জি-মেইলের কন্ট্রোল নিয়ে তার (নারী কনস্টেবল) মোবাইল ফোনের যাবতীয় নম্বর ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সব তথ্য সংগ্রহ করে।
পরবর্তীতে হৃদয় কৌশলে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যদের মোবাইল নম্বর দিয়ে হোয়াটস অ্যাপে গ্রুপ খুলে ওইসব ভিডিও ছড়িয়ে দেয়।
এএইচ/
আরও পড়ুন