রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ১২ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১০:৫৯, ১৫ জুন ২০২১
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনের করোনা পজেটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ৬টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টার বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। এদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭ জন এবং নাটোর ও নওগাঁর একজন করে।
এ নিয়ে চলতি মাসের গত ১৫ দিনে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৪৮ জন। এর মধ্যে ৮৮ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
এর মধ্যে ১ জুন সাতজন, ২ জুন সাতজন, ৩ জুন নয়জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন আটজন, ৬ জুন ছয়জন, ৭ জুন ১১ জন, ৮ জুন আটজন, ৯ জুন আটজন, ১০ জুন ১২ জন, ১১ জুন ১৫ জন, ১২ জুন ৪ জন, ১৩ জুন ১৩ জন, ১৪ জুন ১২ জন এবং সর্বশেষ ১৫ জুন মারা যান ১২ জন।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আট, নাটোরের চার, নওগাঁর পাঁচ ও কুষ্টিয়ার দুইজন। একই সময় সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৩ জন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এ হাসপাতালের ২৭৩ বেডের বিপরিতে ভর্তি রয়েছেন ৩২৫ জন। বাকি রোগিদের অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের রাজশাহীর ১৮৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮২, নাটোরের ১৭, নওগাঁর ২৬, পাবনার ৪, কুষ্টিয়ার ৬ ও চুয়াডাঙ্গার ১ জন।
এদিকে, রাজশাহীতে সংক্রমণের হার কমেছে। সোমবার দুইটি ল্যাবে রাজশাহীর ৩৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, আগের দিনের চেয়ে ১১ দশমিক ০১ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার হয়েছে ৩০ দশমিক ১৭ শতাংশ।
যা আগের দিন রোববার ছিল ৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং এর আগের দিন শনিবার ছিল ৫৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ফলে গত দুই দিনে রাজশাহী শনাক্তের হার কমেছে ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯৯টি নমুনা পরীক্ষায় ২২ জনের পজেটিভ এসেছে। এখানে শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর নওগাঁর ৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৩ জনের শরীরে ভাইরাস পাওয়া গেছে। সেখানে শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এছাড়া নাটোরের ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের পজেটিভ আসে। এখানে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
এএইচ/
আরও পড়ুন
