নারায়ণগঞ্জ বোমা হামলা ট্রাজেডি দিবস আজ
প্রকাশিত : ১১:১৫, ১৬ জুন ২০২১
আজ ১৬ জুন, নারায়ণগঞ্জ বোমা হামলা ট্রাজেডি দিবস। ২০০১ সালে এই দিনে নগরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে নৃশংস বোমা হামলায় ২০ জন নিহত হয়। আহত হয় তৎকালিন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ শতাধিক নেতাকর্মী। এ ঘটনার ২০ বছর পেড়িয়ে গেলেও এখনও বিচার হয়নি। প্রাণে বেঁচে যাওয়া আহতরা পঙ্গুত্ব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দিন কাটাচ্ছে অর্থ সংকটে।
২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভের পাশে আওয়ামী লীগ অফিসে শক্তিশালী বোমা হামলায় ৪ নারীসহ ২০ জন প্রাণ হারায়। আহত হয় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। বোমা হামলার পরদিনই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা বাদী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামী করে হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। অন্যদিকে বোমা হামলায় নিহত ফুটপাতের পিঠা বিক্রেতা হালিমা বেগমের ছেলে কালাম বাদী হয়ে শামীম ওসমান ও তার দুই ভাইসহ অনেককে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৩ সালে বিস্ফোরক মামলায় ২৭ জনকে ও ২০১৪ সলে হত্যা মামলায় তদন্তকারী সংস্থা ২২ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দখিল করে। এ মামলায় গ্রেফতার হয়েছে চারদলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার আরিফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ১০ জন।
আসামীদের মধ্যে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের উপর বোমা হামলার মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। কারাগারে আছে আদালতে একমাত্র স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়া আসামী শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল ও আব্দুস সালাম পিন্টু। ভারতে গ্রেফতার রয়েছে আনিসুল মোরছালিন ও মাহাবুবুল মুত্তাকিম। জামিনে আছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু ও ওবায়দুল হক। বাকী আসামীরা পলাতক।
১০২ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ৩২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে ২০ বছরেও বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছে নিহতের পরিবারের স্বজন ও আহতরা।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নারায়ণগঞ্জ আবদুর রহিম জানান, বোমা হামলার ঘটনার দায়ের করা দুটি মামলা এখন নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিভিন্ন কারণে মামলার আসামী ও স্বাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে না পাড়ায় বিচার কার্য বিলম্বিত হয়েছে। তবে এ বছর মামলা শেষ হবে বলে প্রত্যাশা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর।
মামলার দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করে দোষিদের শাস্তি দাবি করেছেন বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোসহ নারায়ণগঞ্জবাসীরা।
এএইচ/
আরও পড়ুন