ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

নানা জটিলতায় চট্টগ্রামের খাল খনন কাজ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৮, ২২ জুন ২০২১

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে ‘বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন’ প্রকল্প হাতে নেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় এখনও শুরুই করা যায়নি খনন কাজ। সেই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়ে যাচ্ছে ১ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকায়।

একাধিক মামলা আর কিছু জটিলতার কারণে নতুন খাল খনন প্রকল্পটি আটকে যায়। যদিও জমি অধিগ্রহণ করতে ভূমির মালিকদের জন্য জেলা প্রশাসককে ৯১৪ কোটি দেওয়া হয়েছে। ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পটি আবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি তথা একনেক বৈঠকে অনুমোদন নিতে হবে। এরপর বর্ষা কেটে গেলে নতুন খাল খনন করা যাবে বলে আশা করছেন সিটি করপোরেশনের নীতি নির্ধারকেরা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যে প্রকল্প ছিল তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা আবার সে প্রকল্পের জন্য দিয়েছি, এটা একনেকে উঠলে এবং পাশ হলে সাথে সাথে আমরা কাজ শুরু করবো।

নগরের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬৫ ফুট প্রস্থের নতুন খালটি খননের জন্য সর্বশেষ মহাপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২৬ বছর আগে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হলেও সিটি করপোরেশন খাল খনন করতে পারেনি। পারেনি জায়গাও বুঝে নিতে। এ জন্য সিটি করপোরেশনের অদক্ষতাকে দায়ী করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, খালটি মাস্টার প্ল্যানের নির্দেশনায় ছিল। ২০১১ সালে কাজটি নিয়ে তারা আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। যার ফলে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।

নতুন মেয়র তাঁর মেয়াদে খালটি খনন করার ব্যাপারে আশাবাদী। বারইপাড়া খালটির খনন কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম নগরের একটি বড় অংশ জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি