চট্টগ্রাম কাস্টমসকে ‘পেপারলেস’ করার প্রক্রিয়ায় কাজের গতি কম
প্রকাশিত : ১১:১৮, ১৭ জুন ২০১৭
দেশের বৃহত্তম শুল্ক আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে ৫ বছরের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ‘পেপারলেস’ কাস্টমসে পরিণত করার প্রক্রিয়া শুরু হলেও কাজে গতি কম। দুর্নীতিবাজরা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরো বিলম্বিত করতে পারে বলে আশংকা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস দেশের জাতীয় বাজেটের রাজস্ব আয়ের প্রায় এক পঞ্চমাংশ আদায় করে আমদানি-রপ্তানি খাত থেকে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় করে ৩১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তবে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা, অর্থ বছরের শেষ মাস জুনের পর শুল্ক আদায় ৪০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হবে। জালিয়াতি ও মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমাদানির জন্য গত এক বছরে ১২টি ফৌজদারি মামলা, ১৮টি সিএন্ডএফ লাইসেন্স বাতিল ও ১২ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করায় সংশ্লিস্ট সব মহলই এখন সতর্ক।
আমদানি পণ্য ছাড় করতে ২০টি ধাপে ও রপ্তানি পণ্য জাহাজে তুলতে সর্বোচ্চ ৭টি ধাপে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিয়ে অনুমোদন নিতে হয়। ৫০০ কর্মকর্তা ও ২ হাজারের বেশি সিএন্ডএফ সদস্য পুরনো এক বিল্ডিংয়ে এসব কাজ করেন। এতে সময় আর অর্থের অপচয় হচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এই ধরণের কাজ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের আধুনিকায়নের কাজও শুরু হয় প্রায় ৮ বছর আগে। কিন্তু দুর্নীতি করতে পারবে না ভেবে পেপারলেস কাস্টমস বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরো বিলম্বিত করা হতে পারে বলে আশংকা করছেন এই অর্থনীতিবিদ।
কাস্টমস হাউস আধুসিকায়ন প্রকল্পে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দেশের শীর্ষস্থাণীয় একজন আদমানি-রপ্তানিকারক বললেন, চারটি পক্ষের সমন্বয়ে আধুনিক কাস্টমস সম্ভব।
বর্তমানে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ। দেশের অর্থনীতির আকারও বাড়ছে দিনদিন। দ্রুত আধুনিকায়নের মাধ্যমেই কেবল কয়েক হাজার কোটি টাকার শুল্ক আদায়ের কাজ কম সময়ে,সহজে করা যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিস্টরা।
আরও পড়ুন