ঢাকা, সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বেনাপোলে কিডনি পাচারকারী চক্রের সদস্য আটক

বেনাপোল প্রতিনিধি:

প্রকাশিত : ১৯:৫২, ২৪ জুন ২০২১ | আপডেট: ২০:২৪, ২৪ জুন ২০২১

কিডনি ট্রান্সফারের জন্য বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্য আনা এক পাসপোর্টযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে ও কিডনি পাচারের সাথে জড়িত থাকায় পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকাল ১১টার সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে প্রবেশের সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। এসময় আর্মড পুলিশের সদস্যরা বিজিবিকে সহযোগিতা করেন।

কিডনি পাচারের শিকার ভুক্তভোগি পাসপোর্টযাত্রী সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার ঢুকুরিয়াবেড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী মন্ডলের ছেলে মোহাম্মাদ ইউনুছ আলী। তার (পাসপোর্ট নং-ইএম-০৭৪৮৫৮৫)। আর পাচারকারী গাজিপুর জেলার আনিছুর রহমান।
এসময় ইউনুছের ল্যাগেজ থেকে কুমিল্লা জেলার বল্লভপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে রুনা বেগম (পাসপোর্ট নং-এ-০০৫৪৭৮৮৮) নামে এক নারীর পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।

কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ইউনুছ নামে ওই যাত্রীকে আনিছুর ভারতে পাচার করছিল কিডনি ট্রান্সফারের জন্য। তবে ইউনুছের সাথে এক বছরের চুক্তি হয় ভারতে কাজ করলে তাকে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে।

ইউনুছ আলী বলেন, আমাকে এক বছরে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার কাজের চুক্তিতে ভারত পাঠাবে বলে আনিছুরের সাথে চুক্তি হয়। এরপর আমি জানতে পারি যে, আমার শরীর থেকে কিডনি পাচার করা হবে। ঢাকায় আমি গত বুধবার রাতে ভারত যেতে রাজি না হলে আমাকে ঢাকার একটি আবাসিক ভবনে মাথায় পিস্তল ঠেকানো হয়। তারপর বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ঢাকা থেকে বিমানে করে যশোর আনা হয় আমাকে। যশোর থেকে প্রাইভেট কারে করে বেনাপোল নিয়ে আসলে আমি  বিজিবিকে দেখে এগিয়ে গিয়ে সমস্ত ঘটনা খুলে বলি। তিনি আরো জানান, ভারতে আমাকে যেখানে পাঠাবে সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতীয় লোকেরা বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোল চেকপোষ্টে অপেক্ষা করছে, আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

ইউনুসের পিতা ইদ্রিস আলীকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তার ছেলে ঢাকায় একটি গার্মেন্টস শিল্প কারখানায় চাকরি করে। তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

পাচারকারী আনিছুর রহমান বলেন, তার  সাথে তার কোম্পানির লোকের কিডনি দেওয়া বাবদ চুক্তি হয় ওই টাকায়। সে মোতাবেক তাকে আমি বেনাপোল এগিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছি। তাদের ঢাকা মিরপুর ২ নং অফিস। তবে তিনি অফিসের নাম বলেননি।

বেনাপোল চেকপোষ্ট বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আশরাফ আলী বলেন, তাদের দুইজনকে ক্যাম্পে আনা হয়েছে। তদন্ত চলছে সিও (ব্যাটালিয়ন কমান্ডিং অফিসার) সাহেবের নির্দেশে। সে কিডনি পাচারের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে তাকে মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হবে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি