ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

করোনায় চট্টগ্রামে ৭ জনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০৭, ২৮ জুন ২০২১

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়েছে। এ সময়ে পর পর দ্বিতীয় দিনের মতো ৭ জনের মৃত্যু হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর নয়টি, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং  কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৩২৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর মধ্যে শহরের ২২৭ ও ১২ উপজেলার ১শ’ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ আনোয়ারায় ২০, হাটহাজারীতে ১৮, রাউজানে ১৭, রাঙ্গুনিয়ায় ১২, পটিয়ায় ১১, সীতাকু-ে ৮, বোয়ালখালীতে ৫, মিরসরাইয়ে ৪, সন্দ্বীপে ২ জন এবং ফটিকছড়ি, বাঁশখালী ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৭ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে শহরের ৪৫ হাজার ৩৫৭ জন ও গ্রামের ১২ হাজার ৬৪০ জন। 

গতকাল করোনাভাইরাসে আগের দিনের মতোই শহরের একজন ও গ্রামের ৬ জন মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৬৮৮ জন হয়েছে। এতে শহরের ৪৬৯ ও গ্রামের ২১৯ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১২৩ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৩৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৪৪১ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ৪২ হাজার ৫৯৭ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৯৬ জন । ছাড়পত্র নেন ৭০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১৮৫ জন।

উল্লেখ্য, গতকাল করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়। এর আগের সর্বোচ্চ হার ছিল ২৪ জুন ২৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। হারের পাশাপাশি সংক্রমণের সংখ্যাও বেড়েছে। গতকালই একদিনের সর্বোচ্চ আক্রান্ত শনাক্ত হয়। ২৬ জুন সংক্রমিত চিহ্নিত হন ৩শ’ জন। এ মাসে সবচেয়ে কম আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৬ জুন। সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ০৪ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয় ১২ জুন। গতকালও ৭ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ মাসের প্রথম ২৭ দিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। 

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৫ জনসহ ২০ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২১১টি নমুনায় শহরের ৩৯ ও গ্রামের ৩০টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২৬ ও গ্রামের ৩২ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯১ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২২ ও গ্রামের ৭ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করলে গ্রামের একটিসহ ২৪টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের মধ্যে জীবাণুর সংক্রমণ ধরা পড়ে।

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৯২টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৩৯ ও গ্রামের ৮টি,  ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৫৯টি নমুনায় গ্রামের ৩টিসহ ৪১টি, মেডিকেল সেন্টারে ৩০টি নমুনার মধ্যে শহরের ১৪টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৪০টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৫টিসহ ১৬টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। 

চট্টগ্রামের একজনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এটির ফলাফল নেগেটিভ  আসে। তবে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট অনুযায়ী সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, সিভাসুতে ৩২ দশমিক ৭০, চবিতে ৪৯ দশমিক ৫৭, চমেকে ৩১ দশমিক ৮৭, আরটিআরএলে ৩৮ দশমিক ০৯, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ দশমিক ২৭, শেভরনে ২৪ দশমিক ৪৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৫ দশমিক ৭৮, মেডিকেল সেন্টারে ৪৬ দশমিক ৬৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪০ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ। 
সূত্র : বাসস
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি