জেলেদের সহায়তায় তিনদিন পর বনে ফিরলো দুটি হাতি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:১০, ৩০ জুন ২০২১
কক্সবাজারের টেকনাফ পাহাড় থেকে পথ ভুলে নাফ নদীতে নেমে আসা দুটি হাতি তিনদিন পর বনে ফিরে গেছে। স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধারের পর কৌশলে বনে ফেরাতে সক্ষম হয় বনবিভাগ। পরিবেশবাদীরা বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কারণে হাতিদের আবাসস্থল সংকোচন, খাদ্য সংকট এবং চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
গেল শনিবার টেকনাফের নাফ নদীতে দুটি বন্যহাতি ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরদিন স্রোতে ভেসে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চরে গিয়ে আটকা পড়ে। সোমবার সাঁতরে চলে যায় বঙ্গোপসাগরে।
তিনদিন চেষ্টা করে জেলেদের সহায়তায় হাতি দুটি বনে ফেরাতে সক্ষম হয় বনবিভাগ। এই ক’দিনে খাবারের অভাবে বেশ কাবু হয়ে পড়ে হাতি দুটি।
টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমদ বলেন, আমাদের আধুনিক কোন ব্যবস্থা না থাকলেও বর্তমানে এখানের স্থানীয় ও মাঝিমাল্লার যে কৌশল আছে সেটা ব্যবহার করা হয়েছে।
এসময় উৎসুক মানুষের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে।
শাহপরীর দ্বীপ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক যায়েদ হাসান বলেন, হাতির এই দৃশ্য দেখতে এখানে হাজারও মানুষ আসে। এক পর্যায়ে দেখা দেয় উপড়ে পড়া ভীড়।
হাতির আবাসস্থল টেকনাফ ও উখিয়ার অনেকখানি জুড়ে এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফলে চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির পরিচালক এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাদের যে অবাধ বিচরণ, পাহাড় নিধন এবং বনবিভাগের হাতির জন্য যে করিডোড় ছিল সেখানে মানুষের অবাধ বিচরণ হয়েছে। খাদ্যের অভাবে হাতিগুলো নাফ নদী পাড় হয়ে মিয়ানমারে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, মিয়ানমারে যাওয়ার যে করিডোড় তাও বন্ধ ছিল, যার কারণে তারা মিয়ানমার যেতে পারেনি। তারা আটকা পড়ে যায় নফনদীতেই।
উখিয়া ও টেকনাফে ১০ হাজার হেক্টর বনভূমি রোহিঙ্গাদের দখলে। ধ্বংস হচ্ছে আশপাশের বনাঞ্চল। বিপাকে পড়ে বন্য হাতিরা পালিয়ে মিয়ানমারে চলে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন