হিলিতে পানের ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষীরা
প্রকাশিত : ১৬:২৪, ১ জুলাই ২০২১
করোনা সংক্রামন রোধে আজ থেকে সারাদেশে সাতদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হলেও দিনাজপুরের হিলিতে এর মাঝেও পানের ভালো দাম পেয়ে খুশি পান চাষীরা। প্রায় প্রতিটি পানের দাম গতহাটের তুলনায় দ্বিগুনের মতো বেড়েছে।এদিকে পানের দাম বাড়ায় কিনতে এসে বিপাকে পড়েছেন পাইকার ও খুচরা পান দোকানীরা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন হিলির পানহাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতি সপ্তাহে দুদিন রবিবার ও বৃহস্পতিবার হিলির সাপ্তাহিক পানের হাট বসে। সে মোতাবেক আজকেও পানের হাট বসেছে।তবে অন্যান্য দিনে হাটে যে পানের আমদানি হয় তার তুলনায় আজ আমদানি অর্ধেকের কম বলে জানিয়েছেন হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা যার কারনেই পানের দাম বেশী। বর্তমানে হাটে বড় আকারের পান ১ হাজার ৬শ থেকে ২ হাজার টাকা পোয়া (৪০ বিরা) চলছে, আর ছোট আকারের চিকন পান বিক্রি হচ্ছে ৪/৫শ টাকা পোয়া যা গত হাটে ২৫০টাকা ছিল।
হিলি হাটে পান কিনতে আসা খুচরা পান দোকানি মতিয়ার রহমান বলেন, আজ হাটে পান কিনতে গিয়ে হতবাক হয়ে গেছি, গতহাটে যে পান হাজার টাকা পোয়া (৪০বিরা) কিনেছি সেই পান আজকে ১ হাজার ৬শ টাকা দাম উঠে গেছে। বাজারে তেমন পান নেই, চাষীরা পান বিক্রি করতে না নিয়ে আসায় এই অবস্থা। একেতো লকডাউনের কারনে দোকান খোলা যাচ্ছেনা, এর উপর পানের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়ে গেছি কিদামে কিনবো আর কিদামে বিক্রি করবো সেই চিন্তায়।
হাটে পান কিনতে জয়পুরহাট থেকে আসা পাইকার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা নিয়মিত এই হাট থেকে পান কিনে নিয়ে যায়। এই হাটে যেখানে ২ থেকে ৩ হাজার গাদি পানের আমদানি হয় সেখানে আজকে মাত্র ১ থেকে দেড় হাজার গাদি পানের আমদানি হয়েছে।এছাড়াও আশেপাশের যে উপজেলাগুলোতে হাট লাগে সেগুলো ঠিকমতো লাগতে না পারার কারনে এখানে আজকে পাইকার বেশী আসছে। যার কারনে বাজারে পানের সরবরাহ কম অপরদিকে চাহীদা বেশী যার কারনে গৃহস্থরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন এতে করে পানের দাম বেশী। যে পান গতহাটে কিনেছি হাজার টাকা পোয়া সেই পান আজকে কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৬শ টাকা করে।
পাচবিবির শালুয়া থেকে হাটে পান বিক্রি করতে আসা মংলা বলেন, আজকে পান বিক্রি করলাম মোটা জাতেরটা ১ হাজার ৬শ টাকা পোয়া আর চিকন জাতেরটা ৫শ টাকা করে। গতহাটের চেয়ে আজকে পানের বাজার অনেক বেশী। গতহাটে যে চিকন পান বিক্রি করেছি ১৫০ টাকা পোয়া সেই পান আজকে ৫শ টাকা পোয়া, মোটা পান গতহাটে ৮শ টাকা বিক্রি করেছি সেটি আজকের হাটে বিক্রি করলাম ১ হাজার ৬শ টাকা করে। আমরা তো মনে করেছিলাম হাট তো ভয়ে ভয়ে লাগছে তাতে করে বেচাকেনা হবে কিনা যার কারনে অনেকেই বরজ থেকে পান উঠায়নি। এত পান আমদানি হয় যে হাটে জায়গা থাকেনা সেখানে লকডাউনের কারনে আজকে পান তেমন না আসার ফলে দামটা বেশী পাওয়া যাচ্ছে।একই কথা জানান তার মতো পান বিক্রি করতে আসা অনেক চাষী।
হিলি হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি হায়দার আলী বলেন, লকডাউনের মাঝেও আজকে ভয়ে ভয়ে পানের হাট বসেছে। তবে লকডাউনের ভয়ে অনেক পানচাষী ঠিকমতো হাট লাগবে কিনা সেই কারনে বরজ থেকে পান না উঠানোর ফলে হাটে পানের বিক্রেতাদের সংখ্যা কম। অপরদিকে বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ পরিমানে পাইকার আসার কারনে বাজারে চাহীদার তুলনায় পানের সরবরাহ কম হওয়ার কারনে পানের দাম বেশী হয়েছে।
আরকে//
আরও পড়ুন