ধরলায় ফের পানি বৃদ্ধি, নিন্মাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি
প্রকাশিত : ১৭:৫৮, ৬ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১৮:০২, ৬ জুলাই ২০২১
কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সবকটি নদ-নদীর পানি আবার বাড়ছে। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড এই তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মঙ্গলবার দুপুর তিনটের দিকে ধরলা নদীর পানি সকাল থেকে ১২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে কয়েকদিন যাবত তলিয়ে থাকা চর ও দ্বীপচরের শাকসবজি ও পাটখেতসহ বিভিন্ন ফসলগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে ও উজানের ঢলে জেলার নদী তীরবর্তী প্রায় অর্ধ-শতাধিক চরে ও দ্বীপচরে পানি উঠে। অনেকের ঘরে পানি উঠায় তার উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেয়। ওইসব এলাকায় রাস্তা ঘাট ও গ্রামীণ সড়কগুলোর কয়েক জায়গায় ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, পানি কমা-বাড়ার কারণে জেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে নদী ভাঙন চলছে। জেলার ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমোর নদের ভাঙ্গনের হুমকিতে ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি হাইস্কুলসহ ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও ধরলার উজানে সদরের সারডোব, তিস্তার রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙা এলাকায়ও ভাঙছে নদী। রাজারহাটে তিস্তার ভাঙন চলছে ঘড়িয়ালডাঙায় চর খিতাব খাঁ ও গতিয়াশ্যামে। এসব এলাকায় গত এক সপ্তাহে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি চলে গেছে নদীগর্ভে। অনেকে উঁচু বাঁধ কিংবা খোলা আকাশে আশ্রয় নিয়ে আছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বন্যার্ত ও নদী ভাঙনের শিকার মানুষের জন্য জিআর চাল ৩৭৫ মে. টন ও নগদ টাকা দেয়া হয়েছে।
কেআই//
আরও পড়ুন