কুড়িগ্রামে নদী ভাঙনে বিলীন ১ হাজার পরিবার
প্রকাশিত : ২৩:৩০, ৬ জুলাই ২০২১
তিস্তা ধরলার পানি কিছুটা কমলেও বন্যা ও ভাঙনের আতংকে রয়েছে নদী পারের মানুষ। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৩০টি পয়েন্টে নদী ভাঙন তীব্ররুপ ধারণ করেছে।
কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, চিলমারী, রৌমারী ও নাগেশ্বরী উপজেলাসহ ৯টি উপজেলায় এরই মধ্যে গৃহহীন হয়েছে প্রায় এক হাজার পরিবার। ভাঙনের শিকার অসহায় পরিবারগুলোর অনেকেই সড়ক, বাঁধ ও খোলা জায়গায় আশ্রয় নিয়ে কাটাচ্ছে দুর্বিসহ জীবন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর বড়াইবাড়ি, নানকার গ্রাম ও সারডোবে ৬০টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। নাগেশ্বরী উপজেলার নায়ায়ণপুরে আকবর হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। কন্যামতি বাজারটি বিলীনের পথে। এখানে ভাঙনের শিকার হয়েছে ৫টি গ্রামের ৩০০ পরিবার। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে চিলমারীর ১১টি চরের ২৫০টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। তিস্তার ১৮টি পয়েন্টে ইতোমধ্যে ভাঙনের শিকার হয়ে ৪ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। পানি উন্নয়নের বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভাঙন প্রতিরোধে ২০টি স্পটে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
এদিকে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানিয়েছেন, বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ত্রাণ সহায়তা ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
কেআই//
আরও পড়ুন