কুড়িগ্রামে নদী ভাঙনের কবলে ৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রকাশিত : ১৮:৪৬, ৭ জুলাই ২০২১
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানিতে গত দু’একদিন থেকে কমতে শুরু করলেও ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সামান্য কমা-বাড়ার মধ্য দিয়ে চলছে। তবে তা বিপৎসীমার অনেকটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নদনদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, নদ-নদীগুলোতে গত কয়েকদিন যাবত তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। জেলায় ১৬টি নদনদীতে প্রায় অর্ধশত পয়েন্টে নদী ভাঙন এখন চলমান। এতে গত এক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক ঘর বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়াও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদীর ভাঙনে হুমকিতে রয়েছে ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
উপজেলার পাইকের ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সামাদ বলেন, গত বছর দুধকুমার নদের ভাঙনে বিদ্যালয়ের অর্ধেক মাঠ নদীতে চলে গেছে। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এবার আর বিদ্যালয়টি রক্ষা করা সম্ভব হবেনা। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। নতুন এলাকায় ভাঙন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। উজানে তিস্তা নদীতে রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙা ও উলিপুরের বেশ কয়েটি জায়গায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও ব্রহ্মপূত্র নদে সদর উপজেলার মোগলবাসা ও যাত্রাপুরে নদী ভাঙছে। অপরদিকে, জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, তলিয়ে থাকা চরের প্রায় ১শ হেক্টর জমির শাকসবজি, পটল, ঝিঙে, চিচিঙা, করলাসহ নানা জাতের সবজিগুলোর কিছুটা নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এছাড়াও আগাম ১শ হেক্টর জমির পাট বন্যার কারনে ইতোমধ্যেই কৃষকরা কেটে নেন।
কেআই//
আরও পড়ুন