ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

করোনায় চট্টগ্রামে সবোর্চ্চ ১৪ জনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০০, ১১ জুলাই ২০২১

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে সবোর্চ্চ ১৪ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ৭০৯ জনের নমুনায় ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ হাজার অতিক্রম করলো।

এ নিয়ে চলতি মাসের প্রথম দশ দিনে চট্টগ্রামে ৬৪ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হলো। দেশে করোনার প্রকোপ শুরুর পর চট্টগ্রামে এটাই একদিনের সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল ১১ জনের মৃত্যু হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজসহ নয়টি ল্যাবে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৭০৯ জন পজিটিভ সংক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪১৬ জন, আর চৌদ্দ উপজেলার ২৯৩ জন। 

উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ সীতাকুণ্ডে ৫৪ জন, হাটহাজারীতে ৪৮ জন, মিরসরাইয়ে ৩৩ জন, চন্দনাইশে ২৯ জন, ফটিকছড়িতে ২৩ জন, রাউজানে ১৯ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১৮ জন, সন্দ্বীপে ১৬ জন, সাতকানিয়ায় ১৫ জন, পটিয়ায় ১৪ জন, বোয়ালখালীতে ১১ জন, বাঁশখালীতে ৮ জন, লোহাগাড়ায় ৪ জন ও আনোয়ারায় ১ জন রয়েছেন। 

জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৬৫ হাজার ৮ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৫০ হাজার ১৩৪ জন শহরের ও ১৪ হাজার ৮৭৪ জন গ্রামের বাসিন্দা। 

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শহরের ৭ জন ও গ্রামের ৭ জন মারা যান। এনিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৭৭১ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৪৯৭ জন ও গ্রামের ২৭৪ জন। একই সময়ে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫১ জন। এতে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৯৫০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৯৫৫ জন ও ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৩ হাজার ৯৯৫ জন। 

হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হয়েছেন ১৯২ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১৮০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৬৯২ জন।
 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬৬৮ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৬১ ও গ্রামের ১৬৩ জন পজিটিভ বলে জানানো হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৬২০ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১০৬ ও গ্রামের ৭০টিতে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। 

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১১০ ও গ্রামের ৩২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ৩টিসহ ৩৬টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।

নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২০৩টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪০ ও গ্রামের ১৩টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৪৯টি নমুনায় গ্রামের ৩টিসহ ২১টি, মেডিকেল সেন্টারে ৩১ নমুনার মধ্যে শহরের ১৬টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৯ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩২ ও গ্রামের ৬টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রামের ৩৬ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তিনজনের পজিটিভ ও অবশিষ্টগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।

এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। 

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে এন্টিজেন টেস্টে ৩৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২৮ দশমিক ৩৮, চমেকে ৩৯ দশমিক ৭৭, আরটিআরএলে ৭৩ দশমিক ৪৭, শেভরনে ২৬ দশমিক ১১, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪২ দশমিক ৮৬, মেডিকেল সেন্টারে ৫১ দশমিক ৬১, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৫ দশমিক ০৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ সংক্রমণ হার পাওয়া যায়।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি