‘জামতলার টাইগার’ দাম হাঁকা হয়েছে ৬ লাখ টাকা
প্রকাশিত : ১৫:২২, ১১ জুলাই ২০২১
প্রতিবছর ঈদুল আযহা এলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে কোরবানির পশু। এবার করোনা মহামারিতে সবকিছু থমকে গেলেও দৈহিক আকৃতি ও দামের কারণে কিছু কিছু কোরবানির গরু ইতিমধ্যে খবরের শিরোনাম হয়েছে। এর একটি যশোরের শার্শা উপজেলার জামতলার ফ্রিজিয়ান জাতের গরু, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জামতলার টাইগার’।
যশোরের শার্শা উপজেলার পল্লীতে আড়াই বছর ধরে লালন পালন করা ‘টাইগার' নামের ষাঁড়টি এবার কোরবানির হাটে তুলে স্বপ্ন পূরণ করতে চান কৃষক আমিনুর। দাম হেঁকেছেন ৬ লাখ টাকা। তবে করোনায় উপযুক্ত দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এই ষাঁড় মালিক। ‘টাইগার’-এর ওজন ২৮ মণ। কিন্তু ওই দামে এখন পর্যন্ত কোন ক্রেতা পাচ্ছেন না তিনি।
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের জামতলা থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমের গ্রাম টেংরায় গরুটি প্রস্তুত করেছেন ওই গ্রামের কৃষক আমিনুর ইসলাম। কালো ডোরাকাটা রঙের গরুটিকে আড়াই বছর ধরে সন্তানের মত লালন পালন করে আসছেন কৃষক আমিনুর ও তার স্ত্রী হাজিরা বেগম।
তাদের দাবি, টাইগারের বয়স আড়াই বছর। স্বাভাবিক খাবার খায়। গরুটির মোট ওজন ২৮ মণ। চার দাঁত। গরুটি ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান তিনি। বাজারে তোলার আগেই স্থানীয় এক ব্যাপারী ৪ লাখ টাকা দাম দিতে চেয়েছেন বলে জানান মালিক আমিনুর। তবে ৬ লাখ টাকার জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি।
ইতোমধ্যেই এই ‘জামতলার টাইগার’কে নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে এলাকায়। কেউ কেউ বলছেন, এটিই এবার উপজেলার অন্যতম বড় গরু হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত গরুটি কোনও হাটে তোলা হয়নি। বাড়িতে থাকা অবস্থাতেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
গরুর মালিক আমিনুর বলেন, নিজস্ব গাভী ফ্রিজিয়ান ক্রস ব্যবহার করে গরুটি উৎপাদন করা হয়েছে। এটি একটি ষাঁড়। ষাঁড়টির বর্তমান বয়স আড়াই বছর। ষাঁড়টিতে ২০ মণ মাংশ পাওয়া যাবে বলে স্থানীয় মাংস ব্যবসায়ীরা বলেছেন। স্বাভাবিকভাবে এ জাতের গরু ২৫-৩০ মণের হয়ে থাকে।
তিনি জানান, গরুটি বড় করার ক্ষেত্রে তিনি স্বাভাবিকভাবে দানাদার ও লিকুইড খাদ্য হিসেবে খড়, বুট ও ছোলার ভুসি, গম, চিটাগুড়, ভিজানো চাল, খৈল, নেপিয়ার ঘাসসহ প্রাকৃতিক খাবারই দিয়েছেন। মোটাতাজা করতে বিশেষ কোন পদ্ধতিও ব্যবহার করেননি।
টেংরা গ্রামের মেম্বার মোজাম গাজি বলেন, অভাবী কৃষক আমিনুর অনেক বেশি যত্ন নিয়ে গরুটি লালন পালন করে। করোনাকালিন এই সময় উপযুক্ত দাম পাবেন কী না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, তবে ন্যায্য দাম না পেলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।
এদিকে বিশাল আকারের এই ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন মানুষ ভীড় করছেন আমিনুরের বাড়িতে।
এএইচ/
আরও পড়ুন