মিরসরাইয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় চলছে সিএনজি-অটোরিক্সা
প্রকাশিত : ১০:৪২, ১২ জুলাই ২০২১
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মহাসড়কে চলছে সিএনজি অটোরিক্সা। তবে জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বেরুলে সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে ভাড়া বিড়ম্ভনায়। করোনাকে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে প্রায়ই সিএনজি-অটোরিক্সা চালকদের সাথে যাত্রীদের বাকবিতণ্ডা হচ্ছে। মিরসরাই থেকে মিঠাছড়ার নিয়মিত ভাড়া ৫ টাকা কিন্তু ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা। অন্যদিকে বারইয়ারহাট থেকে মিরসরাই নিয়মিত ভাড়া ২০ টাকা, নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। এই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
উপজেলার খইয়াছড়া এলাকার বাসিন্দা সাজেদুল সাকিব বলেন, ভ্যাকসিন রেজিষ্ট্রেশনের জন্য মিরসরাই গিয়েছিলাম, যেখানে নিয়মিত ভাড়া ছিল ১০ টাকা কিন্তু আমাকে এখন যেতে হয়েছে ৪০ টাকা দিয়ে। আসা-যাওয়ায় আমার খরচ হয়েছে ৮০ টাকা। জরুরি প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে চারকদের জুলুমের শিকার হতে হচ্ছে আমাদের।
উপজেলার বাদামতলীর বাসিন্দা মো. সুমন অভিযোগ করে বলেন, সিএনজি চালকদের অতিরিক্ত ভাড়ার কারণ জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমি একটি কারখানায় চাকরি করি। লকডাউনের কারণে বাধ্য হয়ে সিএনজিতে যেতে হয়, কিন্তু ভাড়ার পেছনে চলে যাচ্ছে বেতনের সব টাকা।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান জানান, কঠোর লকডাউনের সময় সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ বিষয়ে তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। মাঠে আমাদেরও মোবাইল কোর্ট টিম রয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করে এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন জানান, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা যখন অভিযানে যাই সিএনজি অটোরিক্সা ড্রাইভাররা গাড়ি দেখলেই বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়। সিভিলে অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এএইচ/
আরও পড়ুন