নিয়ম না মেনে বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক
প্রকাশিত : ১৪:২২, ১৪ জুলাই ২০২১
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দক্ষিণ কামদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতান লোহার বেঞ্চ ও টিনসহ অন্যান্য আসবাবপত্র বিধি বহির্ভূতভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।
এতে বলা হয়েছে, বিধি বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয়ের পুরাতন লোহার বেঞ্চ ও টিনসহ এক লক্ষাধিক টাকার মালামাল বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে শাস্তিমূলক অপরাধ। বেআইনিভাবে সরকারি মালামাল বিক্রির দায়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার সন্তোষজনক কারণ ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে দাখিল করতে বলা হলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে নলছিটি গার্লস স্কুল সড়কের একটি ভাঙারির দোকানে ওই বিদ্যালয়টির পুরাতন মালামাল বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষক তারিকুল ইসলাম। কিন্তু বিধি অনুযায়ী প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে বিক্রির কথা থাকলেও তিনি তা না করে ওই মালামাল বিধি বহির্ভুতভাবে বিক্রি করে দেন।
২৭ হাজার টাকায় ওই মালামাল বিক্রি করেছেন বলে প্রধান শিক্ষক দাবি করেন। তবে বিক্রিত ওই মামালামালের মূল্য কমপক্ষে এক লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রধান শিক্ষক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, অনেক দিনের পুরাতান অকেজো কিছু মালামাল বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশনের মাধ্যমে অনুমোদন নিয়ে ২৭ (সাতাশ) হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রির টাকা স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ব্যবহার করা হবে। তবে বিধি অনুসরণ না করে তিনি ভুল করেছেন বলে স্বীকার করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, নিলাম কমিটিকে অবহিত না করে স্কুলের লক্ষাধিক টাকার পুরাতান মালামাল বিক্রি করার অভিযোগ পেয়ে ইতোমধ্যে ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি তদন্তে একজন সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনা সঠিক হলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এএইচ/
আরও পড়ুন