চুয়াডাঙ্গায় কিশোরীকে যৌন নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ১৮:১০, ১৫ জুলাই ২০২১
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় কিশোরীকে যৌন নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সদর থানার পুলিশের একটি বিশেষ দল জেলার দর্শনা থানার সদাবরি গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম লোকমান ওরফে রোকমান (২৮)। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়ার ইবি থানার নওদাপাড়া গ্রামে। ৬ জুলাই একই মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের শান্তি মিয়াকে (৫০) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শান্তি মিয়া বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে বন্দী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুন রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার একটি বাড়িতে সাধুসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাউলগানের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। গান চলাকালে লোকমান ওরফে রোকমান নামের এক ব্যক্তি ওই বাড়িতে ঢুকে ১৪ বছরের কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করেন। এতে শান্তি মিয়া সহযোগিতা করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বসতঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। গত ৪ জুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী মারা যায়। মৃত্যুর আগে ওই কিশোরী তার মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় যৌন নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। মামলায় লোকমান ওরফে রোকমানকে প্রধান আসামি ও শান্তি মিয়াকে দুই নম্বর আসামি করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ঘটনার পর থেকে এজাহারভুক্ত দুই আসামি পলাতক ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুজনকেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
আরকে//
আরও পড়ুন