বাংলাবাজার ঘাটে আটকে আছে ৫ শতাধিক ট্রাক
প্রকাশিত : ১১:৪৯, ১৬ জুলাই ২০২১
কঠোর বিধিনিষেধের পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে শুরু হয়েছে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল। বাংলাবাজার ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত কুরবানীর পশুবাহী ও পণ্যবাহী ট্রাক। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ঘাটে পারের অপেক্ষায় রয়েছে ট্রাকগুলো।
এই নৌরুটে চারটি রো রো ফেরিসহ ১২টি ফেরি চলাচল করলেও এসব ফেরিতে কম সংখ্যক পশুবাহী ট্রাক উঠিয়ে বেশিরভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হচ্ছে বলেই অভিযোগ গরু ব্যবসায়ীদের। এতে করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তীব্র রোদ ও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে পশুগুলো।
বাংলাবাজার ঘাটসূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পশুবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় বাংলাবাজার ঘাটে আসে। অগ্রাধিকার থাকলেও কর্তৃপক্ষ পশুবাহী ট্রাকগুলো কম পারাপার করছে।
এদিকে তীব্র রোদ ও গরমে গরুগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ট্রাকে তাম্বুরা টাঙ্গিয়ে পাখা দিয়ে বাতাস করে ও পশুর মাথায় পানি ঢেলেও কাজ হচ্ছে না। এছাড়া ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় ঘরমুখো মানুষের ভিড়ও রয়েছে ঘাটটিতে। রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সসহ ঢাকাগামী ছোট যানবাহনের ভিড়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে বরাবরের মতোই উদাসীন ছিলো কুরবানীর গরু ব্যবসায়ী, সাধারণ যাত্রীসহ অনেকেই।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে নৌরুটে চারটি রো রো ফেরিসহ ১২টি ফেরি চলাচল করছে। বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা আসার পর থেকেই ঘাটে কুরবানীর পশুবাহী ট্রাকের চাপ বাড়তে থাকে পাশাপাশি কাঁচামাল অন্যান্য পরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপও রয়েছে। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীর চাপও বিদ্যামান। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘাটে পশুবাহী ট্রাক, কাঁচামাল, অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স আগে পারাপার করা হচ্ছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে নৌরুটের পদ্মা নদীতে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে পদ্মা পার হতে দেড় ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। এতে করে কমেছে ফেরির ট্রিপ।
এনএস//
আরও পড়ুন