বেনাপোলে অগ্নিকাণ্ডে ১০টি দোকান পুড়ে ছাই
প্রকাশিত : ১৯:৩৯, ১৭ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১৯:৪১, ১৭ জুলাই ২০২১
যশোরের বেনাপোল বাজারের চুড়িপট্রিতে(কসমেটিক্স মার্কেট) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে মূহুর্তের মধ্যে কসমেটিকস, গার্মেন্টস ও মুদি দোকানসসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কয়েক কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার (১৭ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে চুড়িপট্রি মার্কেটের একটি চায়ের দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। পরে এ আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে পাশের মার্কেটের ১০টি দোকানে। এসময় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দুই ঘন্টা প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সম্ভব হয়। ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে এমন ক্ষতিতে পথে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। ভোরের আগুন এবং দোকান বন্ধ থাকায় সব মালামাল পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।
চুড়িপট্রি মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী ও রজনী বীজ ভান্ডারের মালিক ছলেমান বলেন, তার দুটি প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকাসহ ৩০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ক্ষতি হয়েছে। ঈদ বাজার ধরার জন্য নতুন কাপড় তুলেছিলেন দোকানে। এছাড়া ঢাকা থেকে আরো নতুন মাল আনার জন্য দোকানের মধ্যে নগদ ৫ লাখ টাকা রেখেছিলেন তাও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
দোকানদার আবু রায়হান বলেন, তার দোকানে প্রায় ২৫ লাখ টাকার কসমেটিকস পণ্য ছিল। ঈদ উপলক্ষে আরো ১০ লাখ টাকার মত কসমেটিকস তুলেছিলেন। ব্যাংক লোন রয়েছে। সব শেষ। এখন কোথা থেকে কিভাবে ধার পরিশোধ করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
ফলের আড়তদার ব্যবসায়ী হজরত আলী জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সবজি ও ফল জাতীয় পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়ীদের কাছে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা পাবেন তিনি। এসব হিসাব খাতায় লেখা ছিল। দোকানে আগুনে খাতা পুড়ে শেষ।
বেনাপোল বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান জানান, শনিবার ভোর ৬টার দিকে বেনাপোল বাজারের চুড়িপট্রির মধ্যে তোতা মিয়ার চায়ের দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তে আগুনের লেলিহান চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের দল এসে অগ্নি নির্বাপনের কাজ শুরু করে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু এর মধ্যে সব পুড়ে শেষ হয়ে যায়। খুব ভোরে এ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার কারণে অনেক দোকানদার ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেও পারেনি।
বেনাপোল ফায়ার স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ রতন কুমার জানান, আগুন লাগার ঘটনা শুনে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কিভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে সেটা তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সট সার্কিটের সাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত। আগুনে ১০টি দোকান পুড়ে গেছে এবং চারটি দোকান একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন