ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

লালতীরের হাইব্রিড হলুদ তরমুজ ল্যন ফাই চাষে সফলতা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

প্রকাশিত : ১৭:৫৬, ২৫ জুলাই ২০২১

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা এলাকার কৃষক আব্দুল মতিন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং লালতীরের সার্বিক সহযোগিতায় তিন জাতের হাইব্রিড তরমুজ চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। তার সাফল্য দেখে খোদ কৃষি বিভাগই বিষ্মিত। এলাকার অনান্য কৃষকদের মধ্যেও একটি সারা জাগিয়েছেন। আব্দুল মতিনের এ বাম্পার ফলনে কৃষি বিভাগ এই উচ্চ ফলন শীল বীজ অনান্য উপজেলায়ও বিস্তার ঘটাবে। 

তার চাষ করা জাতগুলো হলো  ব্ল্যাক বেবি, মধুমালা ও হলুদ রঙ্গের লালতীর এর ল্যন ফাই (Lan Fei) জাতের হলুদ তরমুজ। শনিবার বিকেলে সরেজমিনে আব্দুল মতিনের তরমুজ ক্ষেতের ফলাফল  পরিদর্শনে আসেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার এর উপ-পরিচালক সহ স্থানীয় ও জেলা সাংবাদিক বৃন্দ এলাকার অনান্য কৃষকগণ। এ সময় কথা হয় সফল কৃষক আব্দুল মতিনের সাথে, তিনি জানান,তার দুই বিঘা জমিতে এই তিন জাতের তরমুজ চাষ করেন।  ইতিমধ্যেই তিনি ফল বিক্রি করা শুরু করেছেন। তিনি জানান,তিন জাতের মধ্যে হলুদ রঙের লালতীর এর হাইব্রিড, ল্যন ফাই (Lan Fei) জাতটি  সর্বাধিক ফলন হয়েছে।  ফলের ওজন এবং আকারে সবাইকে আকর্ষণ করেছে। শুধু আকার নয় এর স্বাদ অসাধারণ। মধুর মতো মিষ্টি। বাজারে এর দরও ভালো পাচ্ছেন। তিনি জানান এই তিন জাতের তরমুজ চাষ করতে এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর এখন পর্যন্ত  বিক্রি করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। মাঠে যে পরিমাণ ফলন রয়েছে এতে তিনি আরও দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী। 

তিনি আর ও জানান, Lan Fei ল্যন ফাই জাতটির ফলন অন্যান্যদের চেয়ে প্রায় তিনগুণ,বেশি এবং ফলের ওজন এক একটি ৩ থেকে ৪ কেজি এবং ফলে মিষ্টির  পরিমাণ ও অন্যান্য জাতের চেয়ে অনেকগুণ বেশী। তাই আগামিতে তিনি,  ব্যাপকভাবে এই জাতের তরমুজ চাষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেণ। ফলন দেখতে তার জমি পরিদর্শন করেন স্থানীয় আশপাশের কৃষকরা।  তারাও আগামীতে বিস্তৃতভাবে এ জাতের চাষ করবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

এই প্রসঙ্গে,কথা হয় এই প্রদর্শনীর বীজ এর  উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সীড এর লিমিটেড এর বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তীর সাথে তিনি জানান ,হাইব্রিড, Lan Fei ল্যন ফাই জাতটি সবুজ ডোরাকাটা ও ভিতরে  হলুদ রঙ্গের শাসযুক্ত, অধিক মিষ্টি। উত্তম পরিচর্যায় একেকটির তরমুজ এর ওজন হয়, ৫ থেকে ৬ কেজি। সারা বছর ব্যাপী, মাচায় ও মাঠে চাষ করা যায়। এ ফলের পরিপক্বতার সময় আসে ৬৫ থেকে ৭০ দিনে। 

জাতটি চাষ করতে প্রতি শতকে বীজের পরিমাণ লাগে মাত্র ১ গ্রাম। উত্তম  পরিচর্যাতে একরে ফলন উৎপাদন হয় ৩০ থেকে ৩৫ টন। কৃষকরা উপযুক্ত দাম পেলে এই জাতগুলো চাষে দিন দিন আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

এ প্রসঙ্গে কথা হয়  মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী।  তিনি জানান, এ প্রদর্শনীতে তিন জাতের বীজ লাগানো হয়েছে এর মধ্যে অধিক ফলন ও ফলের মিষ্টতার পরিমানে ও  সব দিক থেকে এগিয়ে কৃষকের মন জয় করেছে হাইব্রিড, Lan Fei ল্যন ফাই,জাতটি। তিনি বলেন, জেলার অন্যান্য উপজেলাতে ও এমনি কৃষকদের মাঝে এই জাত গুলোর চাষ ছড়িয়ে দিতে চান। যেন, কৃষরা  উচ্চমূল্যের ফল এবং সবজি চাষ করে অধিক লাভবান হয়।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি