দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ হচ্ছে দেশে
প্রকাশিত : ২৩:০৫, ২৬ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ২৩:০৭, ২৬ জুলাই ২০২১
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে চলতি বছরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চালু হচ্ছে ১ লক্ষ ৫ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতার আধুনিক সাইলো। ইতিমধ্যে প্রকল্পটির ৭২ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আধুনিক এ খাদ্য সংরক্ষণাগারে দীর্ঘদিন খাদ্য শস্য মজুদ করে রাখা যাবে। এবং যে কোন দুর্যোগে সমস্যা হবে না। যা বর্তমানে সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশে পূর্বাঞ্চলের উৎপাদিত চাউল সংগ্রহ করে খুব সহজেই সংরক্ষণ করা যাবে। প্রয়োজনে ভারতের ত্রিপুরাসহ ৭টি রাজ্যে সহজেই চাউল আমদানি অথবা রফতানি করা যাবে।
দেশের পূর্বাঞ্চলীয় ধানের এবং চালের সবচেয়ে বড় বাজার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ। দেশের হাওরঞ্চলের উৎপাদিত সব ধানই কৃষক ও পাইকাররা নিয়ে আসে আশুগঞ্জ হাটে। প্রতিদিন অন্তত অর্ধলক্ষাধিক মণ ধান আসে এই হাটে। এসব ধান আড়ৎদারদের মাধ্যমে স্থানীয় ভাবে গড়ে উঠা ৪ শতাধিক চাতালকলে বিক্রি হয়। আর মিল মালিকরা চাতালে প্রক্রিয়াজাত করে ধান থেকে চাউলে রুপান্তরিত করে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাউলের সরবরাহ করে থাকে। ধান এবং চাউলের বড় মোকাম (বড় বাজার) গড়ে উঠায় এ জন্য প্রতিবছর সরকারের ধান ও চাল সংগহের বড় একটি অংশ আশুগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করে থাকে। তাই বেশি দিন চাউলের গুণগত ও পুষ্টিমান বজায় রাখার লক্ষ্যে আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।
২০১৮ সালে এপ্রিলে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৫'শ ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় র্নিমাণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন ও ইটালীয়ান কোম্পানী ফ্রেমী এজিআই। ২০২০ সালের এপ্রিলে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় দু-দফায় সময় বাড়িয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে ঠিদাকারি প্রতিষ্ঠানকে শেষ করতে সময় দিয়েছে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
আশুগঞ্জ আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করীম শেখ জানান, আশুগঞ্জ ছাড়াও দেশে আরও ৭টি আধুনিক সাইলো নির্মাণ করছে সরকার। এরমধ্যে চাউলের জন্য ৬টি ও গমের ২টি নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে আশুগঞ্জেরটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ও দেশের সবচেয়ে বড় চাউলের সংরক্ষণাগার।
কেআই//
আরও পড়ুন