স্বাস্থ্যবিধি মানাতে যাওয়া পুলিশকে ধাওয়া, ১২ জনের নামে মামলা
প্রকাশিত : ০৯:২৭, ২৭ জুলাই ২০২১
লকডাউনে জনসমাগম রোধ এবং মাস্ক পরিধানসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে গিয়ে জনতার ধাওয়ার শিকার হয় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার এএসআই বুলবুল ইসলাম এবং কনস্টেবল আজমাইন ইসলাম। এ ঘটনায় কচাকাটা থানায় সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের অপরাধে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। কচাকাটা থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, চলমান লকডাউন কাযর্কর এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গত ২৫ জুলাই পৌনে ৭টার দিকে কচাকাটা বাজারে দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন এএসআই বুলবুল ইসলাম এবং কনস্টেবল আজমাইন ইসলাম। দ্বায়িত্ব পালনকালে গরুর হাটের দিকে ব্যাপক জনসমাগম দেখতে পেয়ে তারা সেই জনসমাগম রোধ করতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাতে যান। এসময় কয়েকজন জনতা দৌঁড় দিলে পালানোর সময় তাদের মধ্যে একজনের হাতে থাকা বাজার মাটিতে পড়ে যায়। এসময় কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে উল্টো এএসআই বুলবুল ইসলাম ও কনস্টেবল আজমাইনকে ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে এএসআই বুলবুল কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের পাশে অবস্থিত তার ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেন।
এসময় উত্তেজিত জনতা লাঠিসোটা নিয়ে তার বাসার সামনে অবস্থান নেয় এবং বাসার গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলমসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং এএসআই বুলবুলকে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা গত ২৬ জুলাই সকাল ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেন।
পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কচাকাটা হাটে মানুষের সমাগম রোধে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছিল। এসময় হাটের কিছু দুষ্ট লোক গুজব ছড়িয়ে দেয় হাটে এসে পুলিশ মারপিট করছে। ফলে একটি ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এনএস//
আরও পড়ুন