করোনায় মৃত মহিলার দাফনে এগিয়ে এলো কোয়ান্টাম
প্রকাশিত : ১৫:৫৫, ২৭ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১৬:১৯, ২৭ জুলাই ২০২১
বান্দরবান লামার রূপসী পাড়ায় করোনায় মৃত হামিদা বেগমের (৬২) শেষ বিদায়ের কাজ সম্পন্ন করল লামা কোয়ান্টাম। সোমবার রাতে হামিদা বেগম কক্সবাজার সদর হাসপাতালে হৃদরোগ জনিত জটিলতা ও করোনা আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার দাফনের কাজ সম্পন্ন করার জন্যে কোয়ান্টামকে আহ্বান জানান লামা উপজেলা কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভোরবেলা বৃষ্টি উপেক্ষা করে মৃতের নিজ গ্রাম অপিপোস্ট পাড়ায় কোয়ান্টামের নারী দাফন স্বেচ্ছাসেবী দল পৌঁছে যান। শেষ বিদায়ের গোসল ও কাফনের কাজ সম্পন্ন করেন তারা। পরে পূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায় জানাজা ও দাফনের কাজ সম্পন্ন করেন কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবী পুরুষ দল।
লামা কোয়ান্টামের দাফন কার্যক্রমের প্রধান পারভেজ মাসুদ বলেন, ‘হাসপাতাল বা বাসা যেখানেই কেউ করোনায় মারা যান না কেন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বধর্মীয় মর্যাদায় দাফন বা সৎকারের কাজটি সম্পন্ন করি। এই সেবা দেয়ার জন্যে আমাদের পুরুষ ও মহিলা আলাদা টিম ২৪ ঘণ্টাই প্রস্তুত আছেন।’
দাফন কার্যক্রমের নারী সদস্যদের একজন মাসুদা আক্তার বলেন, ‘একবছর আগে যখন এই সেবাকাজে যোগ দেই, তখন ভয়ে মৃতের নিকট আত্মীয়রাও কাছে আসত না। কিন্তু আমি মনে করি, একজন মানুষের শেষ বিদায় অবশ্যই সম্মানজনক হওয়া উচিত। তাই যখন আমি কোন মহিলার শেষ বিদায়ের গোসল ও কাফনের কাজটি করি তখন মমতার অনুভূতি নিয়েই করি। কাজটি আমি নির্ভয়ের সাথে করে যাচ্ছি এবং আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি।’
এর আগে লামার রূপসী পাড়া ইউনিয়নে করোনায় মৃত দুজনের দাফন ও সৎকারের কাজ সম্পন্ন করে কোয়ান্টাম দাফন স্বেচ্ছাসেবী দল।
উল্লেখ্য, করোনায় মৃতদেহ দাফন বা সৎকারে সক্রিয় রয়েছে দেশের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবী। রাজধানীসহ সারাদেশেই মমতার পরশে অন্তিম বিদায়ে তাদের নিরলস মানবিক এ সেবা কার্যক্রম চলছে। ২০২০ সালে করোনার শুরু থেকে গত ২৫ জুলাই পর্যন্ত স্ব স্ব ধর্মীয় মর্যাদায় ৪ হাজার ৮৫৯টি মরদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কর্মীরা।
এএইচ/
আরও পড়ুন