ঢাকা, শনিবার   ১২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

টিকার ওষুধ না তুলে শূন্য সিরিঞ্জ পুশের অভিযোগ

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৪২, ৫ আগস্ট ২০২১

Ekushey Television Ltd.

পাবনায় করোনা টিকার ওষুধ না দিয়ে শরীরে শূন্য সিরিঞ্জ পুশের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল টিকা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি পাবনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে, এই ঘটনার ৬ ঘন্টা পরও বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

অভিযোগে জানা গেছে, অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল হান্নানের মেয়ে সাবাহ মারিয়ম অন্তিকা করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার জন্য বুধবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান। সে ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের এমবিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী৷ দেড়ঘন্টা পর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে টিকা দেয়ার জন্য নির্ধারিত স্থানে বসানো হয়। এরপর টিকার ওষুধ সিরিঞ্জে না তুলে শূন্য সিরিঞ্জ তার শরীরে পুশ করা হয়৷ তা দেখে প্রতিবাদ করলে তাকে পুনরায় ওষুধসহ টিকা দেয়া হয়৷ 

মেডিকেল শিক্ষার্থী সাবাহ মারিয়ম অন্তিকার বাবা অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে নম্র ও শান্ত স্বভাবের। টিকা কেন্দ্রে কাউকে কিছু না বলে বাসায় এসে মোবাইলে কল দিয়ে আমার কাছে কান্না শুরু করে বলে, টিকা ছাড়াই আমার শরীরে শূন্য সিরিঞ্জ পুশ করা হয়েছিল। 

অভিযোগকারি বলেন, আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচার দাবি করছি। প্রয়োজনে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

টিকা কেন্দ্রে কোন নার্স দায়িত্বে ছিলেন এ তথ্য জানতে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জাহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানার চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না কোন নার্স শরীরে শূন্য সিরিঞ্জ পুশ করেছিলেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে।

বিষয়টি নিয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কেএম আবু জাফর বলেন, দুপুর তিনটা পর্যন্ত আমি হাসপাতালেই ছিলাম। এ ধরণের কোন ঘটনা আমার কানে আসেনি বা আমাকে কেউ জানায়নি। এইমাত্র জানতে পারলাম। অভিযোগ পেলে এবং প্রমাণিত হলে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।

জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, এ ধরণের কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আমি বিষয়টি জ্ঞাত নই।  

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি