মৌলভীবাজারে বিপন্ন প্রজাতির ৪টি প্রাণী উদ্ধার
প্রকাশিত : ১৫:৩৬, ৫ আগস্ট ২০২১
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে র্যাব ও বন বিভাগের যৌথ অভিযানে বিপন্ন প্রজাতির ৪টি প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। এদের একটি খাটো লেজা বানর, দুটি বাঁশ ভাল্লুক ও একটি শকুন। যার মধ্যে খাটো লেজা বানরটি মহা বিপন্নের তালিকায় রয়েছে।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে শ্রীমঙ্গল শহরের জালালিয়া সড়কের বার্ড পার্ক এন্ড ব্রিডিং সেন্টার থেকে বন বিভাগ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে তিন প্রকারের বিপন্ন প্রজাতির চারটি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে।
এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেনে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সহকারী পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার এবং বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র।
শ্যামল কুমার মিত্র জানান, উদ্ধার করা প্রত্যেকটি প্রাণীই বিলুপ্ত প্রজাতির। লাউয়াছড়া বা আশেপাশের বন এই প্রাণীগুলোর জন্য বসবাসযোগ্য কিনা তা দেখা হচ্ছে। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে প্রাণীগুলোকে লাউয়াছড়া বনের জানকী ছড়ার রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে।
এদিকে এই প্রাণীগুলো উদ্ধারস্থল শ্রীমঙ্গল বার্ড পার্কের পরিচালক আব্দুল হান্নান ঘটনাস্থলে না থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে জানা যায়, আব্দুল হান্নান একজন লন্ডন প্রবাসী। তিনি সৌখিন পশু-পাখীপ্রেমী। তার বার্ড পার্কে অনুমতিযোগ্য আরও বেশ কিছু পাখি রয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান জানান, উদ্ধারকৃত এই প্রাণীগুলোর প্রত্যেকটিই বিপন্ন প্রজাতির। এর মধ্যে বাঁশ ভাল্লুক ও খাটো লেজার বানর এক সময় সিলেট ও চট্টগ্রামের বনে দেখা যেতো। বাঁশ ভাল্লুক খুবই বিরল প্রজাতির প্রাণী। এর ইংরেজি নাম Binturang এবং বৈজ্ঞানিক নাম Arctictis binturang।
সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের গভীর জঙ্গলের বাঁশ বনে এদের পাওয়া যায়। এরা গেছো স্বভাবের এবং সর্বভূক। একই সাথে খাটো লেজা বানর দেখতে অনান্য বানরের মতো হলেও এদের লেজ খুবই ছোট শূকরের মতো এবং কপাল একটু কালো। এর ইংরেজী নাম Stump-tailed ও বৈজ্ঞানিক নাম macaque ।
এএইচ/
আরও পড়ুন