ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বাগাতিপাড়ায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙ্গে পড়েছে শহীদ মিনার

নাটোর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৭:০৯, ৬ আগস্ট ২০২১

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে নির্মানাধীন শহীদ মিনার ভেঙ্গে পড়েছে। প্রায় মাসাধিককাল আগে শহীদ মিনারের স্তম্ভ ভেঙ্গে পড়লেও তা মেরামতের কোন উদ্দোগ নেই। এদিকে  নির্মানাধীন  শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে পড়া নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জনের নানা মত। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিন্ম মানের উপকরণ ব্যবহার করায় শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে পড়েছে।  তবে শিক্ষা কর্মকর্তা সহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবী,এক পাগল শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলেছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রুটিন মেইনটেইনেন্স বাবদ বরাদ্দ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই শহীদ মিনারের কাজ শুরু করা হয়। প্রায় এক বছর পূর্বে স্কুল পরিচালনা কমিটির অধীনে কাজটি করা হয়। কাজটি শুরুর পর শহীদ মিনারের সিঁড়িসহ তিনটি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। বেদীর অংশে মাটি ভরাট করে রাখা হলেও তা ঢালাই বা প্লাস্টারের কাজ অসম্পূর্ন রয়েছে। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ না হতেই মাসাধিককাল আগে শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভের মধ্যে দু’টি ভেঙ্গে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নি¤œমানের কাজ করার কারনে সামান্য বৃষ্টিতে ভিজে শহীদ মিনারের সÍম্ভ ভেঙ্গে পড়ে। 

বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মিন্টু জানান, প্রায় মাস খানেক আগে তিনি শহীদ মিনারের দু’টি স্তম্ভ  ভাঙ্গা দেখতে পান। বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথেই তিনি বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেছেন। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিলুফার নার্গিস বলেন, রুটিন মেইনটেইনেন্স বাবদ বরাদ্দ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে কাজটি শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু ওই টাকায় কাজটি শেষ করা সম্ভব হয়নি। শহীদ মিনারটি নির্মাণে আরও প্রায় দেড় লাখ টাকার প্রয়োজন । সরকারি বরাদ্দ পেলে কাজটি শেষ করা যেতো। তবে কয়েকদিন আগে শহীদ মিনার ভাঙ্গার বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। করোনার কারনে সেটি মেরামতের উদ্যোগ নিতে দেরি হলেও মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। স্থানীয় এক পাগল নির্মানাধীন মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙ্গে ফেলেছে বলে তিনি জেনেছেন। 

এব্যাপারে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি মাহাবুব আলম বলেন, একবছর পূর্বে তার দায়িত্বে মেয়াদ শেষ হয়েছে। তিনি দায়িত্ব থাকাকালে শহীদ মিনার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। তবে তিনি শহীদ মিনারের দু’টি স্তম্ভ  ভাঙ্গার বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।   

সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম মন্ডল বলেন, স্থানীয় একটি পাগল ব্যক্তি শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলেছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছেন। তবে তা মেরামতে কাজ শুরু করা হয়েছে। 

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি