ঢাকা, সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামে প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:৪৩, ৭ আগস্ট ২০২১ | আপডেট: ১৬:৪৭, ৭ আগস্ট ২০২১

কুড়িগ্রামে গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন অপরদিকে, প্রচণ্ড তাপদাহে কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই গরমে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষজন। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির ভরা মৌসুমে নেই কোন বৃষ্টি। সকাল থেকে প্রখর রোদে সবকিছু খাঁ-খাঁ করছে। 

এই রোদের ঘাম ঝড়ানো তাপমাত্রার কারণে এখানকার শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশা চালক, ঠেলা ও ভ্যান চালকরা অসম্ভব রকমের গরমে প্রায় কর্মহীন হয়ে  পড়েছে। একদিকে মহামারী করোনা সংক্রমনের কারণে লকডাউনে আয় রোজগার কমে যাওয়া চরম ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ। অপরদিকে,তীব্র গরমে অস্থির অবস্থা। যদিও কারো কারো কাজ জুটলে তীব্র গরমে সে কাজ করতেও পারেন না তারা। গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

অনেকেই গাছের ছায়ায় শীতল পরশ পেতে ঠাঁই নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, লেবু পানি, ডাবের পানি কিংবা আইসক্রীম খেয়ে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা করছেন। চলতি মাসে কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা গড়ে ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। তবে এ তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের আশংকা। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীব-বৈচিত্রের উপরও। একটু ঠান্ডা পেতে অনেক শিশু-কিশোর স্থানীয় পুকুর-নদী, বিলে গিয়ে জিড়িয়ে নিচ্ছেন বলে জানা যায়। 

তাছাড়া প্রচণ্ড গরমে শিশুসহ বৃদ্ধদের অনেকের দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া রোগ। ঘন ঘন পাতলা পায়খানায় শিশুরা কাহিল হয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে দেখা দিয়েছে জ্বর-সর্দি-কাশি। ফলে করোনা উপসর্গের সঙ্গে আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনে জনজীবনে দেখা দিয়েছে এক ধরনের আতংক। 

কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার জিয়া বাজারের বাসিন্দা লুনা জাহান বলেন, এত অসহ্য গরমে কোন কিছুই ভালো লাগে না। তীব্র গরমে অসহ্য হচ্ছে জনজীবন। 

রাজারহাট উপজেলার চাকির পশার গ্রামের কৃষক ফুলবাবু জানান, বৃষ্টি না থাকায় আমাদের আবাদের খুব সমস্যা হয়েছে। জমি ফেটে চৌচির হচ্ছে। 

তাপদাহ সম্পর্কে জেলা সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান জানান, এই সময়টাতে বৃষ্টি হওয়ার কথা। সেখানে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন কাহিল প্রায়। তবে সকলকে ঘনঘন শরবত ও তরল খাবার খেতে হবে।
কেআই//  
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি