মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে বাদী জেলহাজতে
প্রকাশিত : ১৫:১৪, ১৯ আগস্ট ২০২১
মাদারীপুরে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে মামলার বাদিকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে দায়ের করা মামলাটির বাদীর স্বীকারোক্তিতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে জেলহাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন জেলা জজ নিতাই চন্দ্র সাহা। এতে আদালত পাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলার শিবচর উপজেলার উত্তর বাঁশকান্দি গ্রামের শাহআলম শেখের সাথে একই এলাকার দেলোয়ার মুন্সীসহ অনেকের সাথে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে উভয়পক্ষ আদালতে একাধিক মামলা করে। জমির মামলা চলমান থাকা অবস্থায় বিরোধীদের শায়েস্তা করতে শাহআলম শেখ প্রতিপক্ষের ৬ জনকে আসামি করে গত ২৪ মে মাদারীপুর আদালতে মানব পাচার আইনে একটি পিটিশন দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি শিবচর থানায় প্রেরণ করলে তা এজাহার হিসাবে নিয়ে মামলাটি তদন্তে নামে শিবচর থানা পুলিশ। গত ৯ আগস্ট মামলার আসামী দেলোয়ার মুন্সী, মজিবর মুন্সী ও পলাশ মুন্সীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করে। আসামীরা গ্রেফতার হওয়ার পরে ওইদিন রাতেই স্থানীয়ভাবে আপোষ-মিমাংসার সালিশ হয়। উক্ত সালিশী রায় উভয়পক্ষ মেনে নেয়। কিন্তু একাধিকবার আদালতে জামিন আবেদন করেও আসামীরা জামিন পাননি।
আজ আবার জামিন আবেদন করেন আসামী পক্ষের আইনজীবী। এসময় জামিন আবেদনের নথির সাথে মিমাংসা পত্রের কাগজপত্রও আদালতে জমা দেয়। জামিন শুনানির সময় মামলার বাদী শাহআলম শেখও আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় আদালতে বিচারক বাদী শাহআলমের কাছে মিমাংসার কারণ জানতে চাইলে বাদী এক পর্যায় মিথ্যা মামলা করার কথা স্বীকার করেন। বাদীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আদালতের বিচারক জেলা জজ নিতাই চন্দ্র সাহা বাদীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান জানান, মিথ্যা মামলা করার স্বীকারোক্তি দেয়ায় বিচারক বাদী শাহ আলমকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এখন শাহআলমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ২১১ ধারা মোতাবেক মামলা করা হবে।
এএইচ/
আরও পড়ুন