ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

সড়ক নিয়ে জটিলতা, পানিবন্দী শতাধিক পরিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:০৯, ২২ আগস্ট ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘর পশ্চিম পাড়া এলাকায় সড়ক নিয়ে বিরোধের জের ধরে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে শতাধিক পরিবার দুর্ভোগ ও দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন।
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিলেট-চট্টগ্রাম হাইওয়ের ভাদুঘর ১নং মৌজার ৭৫৭ দাগের জায়গাটি দিয়ে ইরিগেশন প্রকল্পের আওতায় কুরুলিয়া খাল থেকে ড্রেনেজের মাধ্যমে পানি নেয়া হত। বর্তমানে সেখানে জনবসতি হওয়ায় মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। এই সড়কটি দিয়েই চলাচল করতেন আশপাশের লোকজন। কিন্তু এলাকার মোঃ বশির আহমদ খান, আইনাল মিয়া ও মুসলিম মিয়া জায়গাটির মালিক বলে দাবি করছেন। মানুষের চলাচলের এই পথটি নিয়ে বহুবার সালিশ হলেও এখন পর্যন্ত বিষয়টির কোন সমাধান হয়নি। 

ভূক্তভোগীরা জানান, সমস্যা সমাধান না হওয়ায় প্রায় দু’মাস ধরে তাদের পানিবন্দী অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার পানি বাসা বাড়িতেও উঠে গেছে। এতে করে ডেঙ্গুর প্রকোপকালীন সময়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। তারা এর দ্রুত সমাধান চান। 

ভূক্তভোগী বশির আহমদ জানান, এটি এক সময় সেচ প্রকল্পের ড্রেন ছিল। দু’পাশের জমি মালিকদের কাছ থেকে এই জায়গাটি নেয়া হয়েছিল। প্রকল্পটি বর্তমানে নেই। তবে ড্রেন দিয়ে এলাকাবাসী পানি নিষ্কাশনসহ জমি চাষাবাদ করে থাকে। কিন্তু জহির মিয়া, মুজিবুর ও মাহতাব মিয়া রাস্তার উপর বালি ফেলায় পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় এলাকাবাসীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাও বন্ধ হয়েছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করেন তিনি।

এ বিষয়ে মাহতাব মিয়া বলেন, ভূমির ৪০ জন মালিক দলিল করে রাস্তা দিয়েছে। আমরা কোন রাস্তা বন্ধ করিনি এবং পানি চলাচলও বন্ধ করিনি। ভূমি মালিকরা যার যার জায়গার সামনে ভরাট করায় চলতি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

এদিকে স্থানীয়রা সমস্যা সমাধানে পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
  
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনলেও কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি